31 মার্চ যে ডেডলাইন ছিল তার মধ্যে পুরোন সহ গাড়ি পরীক্ষা করে শো-রুমে পাঠানো সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই মার্চের তুলনায় এপ্রিলে গাড়ি বিক্রির হার প্রায় এক চতুর্থাংশ কমেছে বলেই মন্তব্য করেন ক্লাইনেটিক গ্রিনের সিইও সুলজ্জ ফিরোদিয়া মোতয়ানি।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা লাগু করার প্রভাবে এপ্রিলে বেশ খানিকটা কমল দু-তিন চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি। এর কারণ হিসেবে সংস্থাগুলি জানিয়েছে, গাড়ি তৈরির পর নিরাপত্ত সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতে সময় বেশি লাগছে, সেই কারণেই এই হাল। সরকারি তথ্য বলছে চলতি বছর এপ্রিলে সারা দেশে মোট দু-চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে 66,500 টি, যা মার্চের তুলনায় 23 শতাংশ কম।
পাশাপাশি, তিন চাকার গাড়ির বিক্রি মার্চের তুলনায় 16 শতাংশ কমে হয়েছে 38,000। কিন্তু যদি আমরা আগের বছরের নিরিখে পর্যালোচনা করি তাহলে দু চাকা ও তিন চাকার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে 27 ও 76 শতাংশ। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে পরপর ইলেকট্রিক গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই নিয়ে নিয়ম পরিমার্জনা করা হয়। এই নিয়মই পয়লা এপ্রিল থেকে লাগু হয়েছে। নয়া নিয়মে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব গাড়িকে পরীক্ষা করে তারপরেই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে, আর তাই ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এই শ্লথ গতি।
সরকারি তথ্য বলছে এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ওলা ইলেকট্রিকের বাইক। এই মাসে 21,845 টি গাড়ি বিক্রি করেছে ওলা। এরপরেই রয়েছে টিভিএস, অ্যামফেরে এবং আর্থার এনার্জি। এই সংস্থাগুলির গাড়ি বিক্রির পরিমাণ 8727, 8316 এবং 7737। তথ্য বলছে, এই মাসে সবকটি সংস্থার গাড়ি বিক্রিই মোটের ওপর কমেছে একমাত্র ওলা ইলেকট্রিক ছাড়া। বর্তমানে দেশে 10টি ছোট-বড় সংস্থা ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করে।
গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাড়ি পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিতে গড়ে 20-30 দিন সময় লাগছে সরকারি সংস্থাগুলির। এর ফলে গাড়ি তৈরি করলেও ছাড়পত্রের স্তরে একটা বিরাট লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই বিক্রির জন্য উপযোগী গাড়ি সেরকমভাবে শো-রুমে আসছে না। যদিও ব্যাটারি ক্ষেত্রে সেরকম কোনও সমস্যা নেই বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
31 মার্চ যে ডেডলাইন ছিল তার মধ্যে পুরোনো সহ গাড়ি পরীক্ষা করে শো-রুমে পাঠানো সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই মার্চের তুলনায় এপ্রিলে গাড়ি বিক্রির হার প্রায় এক চতুর্থাংশ কমেছে বলেই মন্তব্য করেন ক্লাইনেটিক গ্রিনের সিইও সুলজ্জ ফিরোদিয়া মোতয়ানি। তবে সুলজ্জ-সহ অন্য সকলের ধারণা এই চাপ হয়তো আর এক মাস থাকবে, তারপর পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তাতে বিক্রির হাল আবার ফিরবে। কারণ ইলেকট্রিক দু-চাকা ও তিন-চাকার গাড়ি বিক্রির প্রবণতা ভারতে গত দু-বছরে দ্রুতগতিতে বেড়েছে।
Published: May 4, 2023, 03:30 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App