প্যান্টালুন্স জানিয়েছে, 2020-এর আগে বছরে ৬০-৭০টি দোকান খোলা হত। কিন্তু এখন তা কমিয়ে ৪৫-৫০টি দোকান খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে সংস্থা আশাবাদী এই অর্থবর্ষের পরবর্তী ত্রৈমাসিকে এই পরিস্থিতর বেশ কিছুটা উন্নতি হতে পারে। আদিত্য বিড়লা ফ্যাশনস অ্যান্ড রিটেলের আশিস দীক্ষিত জানিয়েছেন, মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতে আমরা এখন বিপণি খুলছি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার চাহিদা একেবারেই কম। আমাদের আশা আবার পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কোভিড এবং মুদ্রাস্ফীতির জোড়াফলায় দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছিল রিটেল বা খুচরো শিল্পক্ষেত্র। কিন্তু এই দুইয়ের প্রভাব কাটলেও সেভাবে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না সংশ্লিষ্টমহল। বহুল প্রচলিত ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই কথাই বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামাকাপড়-জুতো-ঘড়ির মতো ভোগ্যপণ্যের চাহিদা যে হারে বাড়ার কথা ছিল, তা বাড়েনি। চলতি বছর এপ্রিলে এই খাতে বৃদ্ধির হার মাত্র 6 শতাংশ। মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির শহরগুলিতে বিক্রির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলেই জানিয়েছে রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা RAI।
বিক্রির ভাটার কারণে বৃহৎ রিটেল সংস্থাগুলি নতুন নতুন শহরে তাদের বিপণি খুলতেও খানিকটা দ্বিধায় রয়েছে। হাইপারমার্ট চেন V-Mart-এর কর্তা ললিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির শহরগুলিতে কম দামে ভাল জায়গা রয়েছে, কিন্তু সেখানকার মানুষের মধ্যে পণ্যের চাহিদা অত্যন্ত কম। সেই কারণে গত তিন বছর ধরে যে সব জায়গায় নতুন বিপণি খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার অর্ধেকই এখনও দিনের আলো দেখেনি।
আরেক প্রখ্যাত সংস্থা প্যান্টালুন্স জানিয়েছে, 2020-এর আগে বছরে ৬০-৭০টি দোকান খোলা হত। কিন্তু এখন তা কমিয়ে ৪৫-৫০টি দোকান খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে সংস্থা আশাবাদী এই অর্থবর্ষের পরবর্তী ত্রৈমাসিকে এই পরিস্থিতর বেশ কিছুটা উন্নতি হতে পারে। আদিত্য বিড়লা ফ্যাশনস অ্যান্ড রিটেলের আশিস দীক্ষিত জানিয়েছেন, মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতে আমরা এখন বিপণি খুলছি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার চাহিদা একেবারেই কম। আমাদের আশা আবার পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তুলো ও অন্যান্য বিবিধ কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে জামাকাপড়, জুতো-সহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত কয়েক মাসে। তার উপর মুদ্রাস্ফীতির চাপে দিশেহারা অবস্থা আমজনতার। এই দুয়ের চাপে পড়েই মধ্যবিত্ত মানুষ এখন কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর তারই প্রভাব পড়েছে দেশের রিটেল ক্ষেত্রে।
RAI-এর তথ্য বলছে, এপ্রিলে খুচরো ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ৬ শতাংশ হলেও মার্চ এবং ফেব্রুয়ারিতে এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধি তো দূরস্থান, আগের বছরের তুলনায় পতন হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট সব মহলই মনে করছে চলতি অর্থবর্ষের পরবর্তী ত্রৈমাসিকগুলিতে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির শহরগুলিতে এই হাল কিছুটা ফিরতে পারে।
Published: May 25, 2023, 08:40 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App