মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, RBI 2022 সালের মে মাসে রেপো রেট 4% থেকে বাড়াতে শুরু করেছিল। সর্বশেষ বৃদ্ধি হয়েছিল 8 ফেব্রুয়ারী, 2023, যখন সুদের হার 6.25% থেকে বাড়িয়ে 6.50%-এ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভর্নর বলেন, অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজনীয় তার জন্য RBI সতর্ক থাকবে।
প্রত্যাশা অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট 6.5%-এ অপরিবর্তিত রেখেছে। RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই কারণেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই অবস্থান।
গভর্নর বলেন, আর্থিক নীতি সম্বন্ধিয় কমিটির সাম্প্রতিক পদক্ষেপ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিচ্ছে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, RBI-এর মুদ্রানীতি কমিটি এপ্রিলেও সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছিলো. তখন অবশ্য অনেকের কাছেই তা অপ্রত্যাশিত ঠেকেছিল. এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হার বৃদ্ধি করল না শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
এর ফলে এখনই ঋণের উপর যে সুদের হার তার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই ধরা যায়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে শক্তিকান্ত বলেন, চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ FY24-এ সমগ্র অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি 5.1% থাকবে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি Q1-এর জন্য 6.4%, Q2-এর জন্য 5.2%, Q3-এর জন্য 5.4% এবং Q4-এ 5.2% -এ দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
আগামী দিনেই অর্থনীতি যে অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে তার মধ্যে রয়েছে বর্ষার পরিমাণ, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পণ্যের দামের ওঠাপড়া। তিনি বিশেষ করে অপরিশোধিত তেল, চিনি এবং চালের দামের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, RBI 2022 সালের মে মাসে রেপো রেট 4% থেকে বাড়াতে শুরু করেছিল। সর্বশেষ বৃদ্ধি হয়েছিল 8 ফেব্রুয়ারী, 2023, যখন সুদের হার 6.25% থেকে বাড়িয়ে 6.50%-এ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভর্নর বলেন, অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজনীয় তার জন্য RBI সতর্ক থাকবে।
পাশাপাশি, চলতি বছরে GDP-এর পূর্বাভাস 6.5% ধরে রেখেছেন RBI গভর্নর। তিনি এও বলেছেন যে FY23-এ ভারতের GDP প্রাক-মহামারী স্তর থেকে 10% বেড়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বাণিজ্য ঘাটতি সংকুচিত হওয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, 2030 সালের মধ্যে, ভারতের রপ্তানির মূল্য 1 লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। পাশাপাশি, কারেন্ট একাউন্ট ডেফিসিট FY23-এর Q4-এ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং FY24-এও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
শক্তিকান্ত বলেন, তথ্য থেকে পরিষ্কার এপ্রিল মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগেরও উন্নতি হয়েছে। উল্লেখ্য FY23-তে শেষ কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার ভারতে FDI-এর পরিমাণ কমেছে। তিনি জানান, 2 জুন, 2023 পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল 59,510 কোটি ডলার। এছাড়াও জিডিপি ও ঋণের অনুপাতও ছিল স্বস্তিদায়ক।
Published: June 8, 2023, 06:28 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App