রাশিয়ার অশোধিত তেল কিনে রফতানির অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
গত বছরের 24 ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার পর রাশিরায় বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চালু করে পশ্চিমের দেশগুলি। এর ফলে চাহিদা কমে যাওয়ার পর, রাশিয়া বেশ কম দামেই অশোধিত তেল বিক্রি করে। পেট্রোপণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে যে সব দেশে তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু দেশে যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে হেলসিঙ্কির সংস্থা Centre for Research on Energy and Clean Air। এই সংস্থা বলেছে বিশ্বের পাঁচটি দেশ রাশিয়া থেকে কম দামে অশোধিত তেল কিনে, তা শোধন করে রাশিয়া বিরোধী যে দেশগুলি আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাঁদের কাছে পেট্রোপণ্য বিক্রি করছে। আর এই ব্যবস্থার ফলে রাশিয়ার হাতে যে অর্থ আসছে তা পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রসদ যোগাচ্ছে।
ভারত ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে চিন, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই দেশগুলো ইউরোপ ও G-7 গোষ্ঠীর বিভিন্ন দেশে পেট্রোপণ্য বিক্রি করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে এই সংস্থা। সংস্থার রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে এই দেশগুলি রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তার থেকে তৈরি পেট্রোপণ্য বিক্রি করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের 24 ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার পর রাশিরায় বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চালু করে পশ্চিমের দেশগুলি। এর ফলে চাহিদা কমে যাওয়ার পর, রাশিয়া বেশ কম দামেই অশোধিত তেল বিক্রি করে। পেট্রোপণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে যে সব দেশে তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু দেশে যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই ঘুরপথে রাশিয়ার তেল থেকে পেট্রোপণ্য বিক্রি করে যে অর্থের স্রোত তৈরি হচ্ছে তার থেকে অনেকাংশে যুদ্ধের রসদ পেয়ে যাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে আমদানি করা দেশ যেহেতু রাশিয়া নয়, তাই এই লেনদেন অবৈধ বলে ধরছে না পশ্চিমের দেশগুলি।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে গুজরাতের সিক্কা ও ভাদিনার বন্দরে রাশিয়ার তেল বেশি আসছে এবং তা শোধন করে এই বন্দরগুলির মাধ্যমেই রপ্তানি হচ্ছে। সিক্কা বন্দর জামনগর শোধনাগারের পণ্য মূলত সরবরাহ করে। যদিও এই ব্যাপারে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে ভাদিনার বন্দরের সঙ্গে রাশিয়ার পেট্রোলিয়াম শিল্পের স্বার্থ জড়িত। এই বন্দরের নিকটে যে তেল শোধনাগার, তার মালিক নায়ারা এনার্জি। এই সংস্থার 49.13% অংশীদারিত্ব রয়েছে Rosneft-এর। Rosneft হল রাশিয়া সরকারের মালিকানাধীন সেই দেশের সবচেয়ে বড় পেট্রোপণ্য সংস্থা। রিপোর্টে আরও অভিযোগ করা হয়েছে এটা একটা উদাহরণ যার মাধ্যমে রাশিয়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশ কাটিয়ে বিশ্ববাজারে ব্যবসা করে চলেছে।
পাশাপাশি, এটাও সামনে এসেছে যে রিলায়েন্স বা নায়ারা এনার্জি, দুই সংস্থাকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও কেউই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
Published: May 2, 2023, 09:13 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App