যে প্রাকৃতিক মাপকাঠির নিরিখে বর্ষা আসার অঙ্ক কষা হয়, তা অত্যন্ত জটিল। সাধারণত 6 টি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এগুলি হল, উত্তর-পশ্চিম ভারতের ন্যূনতম তাপমাত্রা, দেশের দক্ষিণে বর্ষার আগে বৃষ্টির তীব্রতা, outgoing longwave radiation বা দক্ষিণ চিন সাগর থেকে কী পরিমান তাপ মহাকাশে বিকিরণ হচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব ভারত মহাসাগরের ওপর ট্রপোস্ফিয়ারের নিম্নভাগে হাওয়ার স্রোত, উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর গড় বায়ুমন্ডলের চাপ আর উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরে ট্রপোস্ফিয়ারের উপরিভাগে বায়ুর স্রোত।
বেসরকারি সংস্থা Skymet-এর পর মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানাল, দেশে বর্ষা ঢুকতে দেরী হবে। দেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বর্ষা আসতে সামান্য দেরি হবে। তারা পূর্বাভাস করেছে 4 জুন কেরালায় বর্ষা আসতে পারে। পাশাপাশি তারা জানিয়ে রেখেছে, পূর্বাভাসের জন্য যে মডেল তারা ব্যবহার করে তাতে বর্ষার আগমন চার-পাঁচ দিন পিছোতে পারে। ফলে এক কথায়, জুনের 1 থেকে 8 তারিখের মধ্যে যে কোনও দিন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর কেরালায় বর্ষা এসেছিল 29 মে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ছিল তার দুদিন আগেই বর্ষা আসবে। 2015 বাদ দিলে গত 18 বছর ধরে বর্ষা আসার ব্যাপারে দপ্তরের পূর্বাভাস ঠিকঠাক মিলে গিয়েছে। Skymet জানিয়েছিল বর্ষা কিছুটা দুর্বল হতে পারে। সে ব্যাপারে মৌসম ভবন অবশ্য কিছু বলেনি।
যে প্রাকৃতিক মাপকাঠির নিরিখে বর্ষা আসার অঙ্ক কষা হয়, তা অত্যন্ত জটিল। সাধারণত 6 টি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এগুলি হল, উত্তর-পশ্চিম ভারতের ন্যূনতম তাপমাত্রা, দেশের দক্ষিণে বর্ষার আগে বৃষ্টির তীব্রতা, outgoing longwave radiation বা দক্ষিণ চিন সাগর থেকে কী পরিমান তাপ মহাকাশে বিকিরণ হচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব ভারত মহাসাগরের ওপর ট্রপোস্ফিয়ারের নিম্নভাগে হাওয়ার স্রোত, উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর গড় বায়ুমন্ডলের চাপ আর উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরে ট্রপোস্ফিয়ারের উপরিভাগে বায়ুর স্রোত।
বর্ষার আগমনে দেরি হলে বীজ বপনের কাজও দেরিতে শুরু হবে। জমিতে গোড়ালি ডোবা জল না থাকলে ঠিকঠাক ধান বোনা যায় না। এদেশে বর্ষাকালের গুরুত্ব অসীম। কারণ দেশে যা বৃষ্টি হয় গড়ে তার 70% বর্ষাকালেই হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, ভারতে এখনও সেচের সুবিধা অনেক অঞ্চলেই নেই এবং কৃষি কাজের জন্য বর্ষার দিকে তাকিয়ে থাকেন লক্ষ লক্ষ কৃষক।
তৃতীয়ত, দেশের বড় জলাধারগুলিতে জলের পরিমাণ খুব কমে গিয়েছে। বর্ষা ভালো হলে তবেই জলাধারগুলিতে কাঙ্খিত পরিমাণে জল থাকবে যার ওপর আবার রবি শস্যের ফলন অর্থাৎ শীতকালীন ফসলের উৎপাদন নির্ভর করে থাকে। গবাদি পশুর পানীয় জলও এই জলাধারগুলি থেকে অনেকাংশে আসে।
Published: May 17, 2023, 07:54 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App