ইতিমধ্যেই 18টি রাজ্যের 300-র বেশি জেলায় চাষীদের উচ্চফলনশীল বীজ বিতরণ করেছে সরকার। গত কয়েক দশকে দেশে মার খেয়েছে সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন। 1990-95 ও 2005-10 এর মধ্যে যে জমিতে সূর্যমুখী চাষ হত তার পরিমাণ ঘোরাফেরা করেছে 21 লক্ষ হেক্টর থেকে 19 লক্ষ 40 হাজার হেক্টরে। কিন্তু 2017-18 সালে তা মাত্র 2 লক্ষ 80 হাজার হেক্টরে নেমে গিয়েছিল। আর এখন দাঁড়িয়ে আছে 2 লক্ষ 60 হাজার হেক্টরে।
গত একবছরের বেশি সময় ধরে ভোজ্য তেলের দামের ওঠা পড়ায় নাকাল দেশের প্রায় সব গৃহস্থ। রান্নার তেলের দাম নিয়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর সরকার লক্ষ্য নিয়েছে বিদেশ থেকে ভোজ্য তেলের আমদানি কমানোর। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দেশে যে পরিমাণ জমিতে তৈলবীজ চাষ হয় তা অনেকটাই বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর জন্য কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসাম ও ওড়িশায় বেশ কিছু জমি এই সরষে চাষের জন্য উৎসাহিত করা হবে। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে যেসব জমিতে রবি শস্যের মরশুমে চাষ হয় না সেই সব জমি এই কাজে লাগানো হবে।
পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের জন্য বীজের ফলনে জোর দেওয়া হবে। এছাড়া সব ধরনের তৈলবীজের জন্য উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার বাড়ানো হবে বলে বাণিজ্যিক দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত আর্থিক বছরে তৈলবীজ চাষ হয়েছে মোট 2 কোটি 97 লক্ষ হেক্টর জমিতে। 2026 সালের মধ্যে এই পরিমাণ 8.75% বাড়িয়ে 3 কোটি 23 লক্ষ হেক্টরে নিয়ে যাবে।
একই সময়ের মধ্যে উৎপাদনের অঙ্কে বৃদ্ধির লক্ষ্য অবশ্য অনেক বেশি- 23% বাড়িয়ে 5 কোটি 41 লক্ষ টনে নিয়ে যাওয়া।
ভারতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করতে হয়। নভেম্বর 2021 থেকে অক্টোবর 2022 সালের মধ্যে ভারতে প্রায় 1 কোটি 42 লক্ষ টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়েছিল। এর মোট মূল্য ছিল 1 লক্ষ 66 হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ ছিল পাম তেলের- 56%। সয়াবিন তেল 29.01%, সূর্যমুখী তেল -14.03%। প্রসঙ্গত এক বছরে নভেম্বর থেকে পরের বছর অক্টোবর পর্যন্ত তেলের বছর ধরা হয়।
ইতিমধ্যেই 18টি রাজ্যের 300-র বেশি জেলায় চাষীদের উচ্চফলনশীল বীজ বিতরণ করেছে সরকার। গত কয়েক দশকে দেশে মার খেয়েছে সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন। 1990-95 ও 2005-10 এর মধ্যে যে জমিতে সূর্যমুখী চাষ হত তার পরিমাণ ঘোরাফেরা করেছে 21 লক্ষ হেক্টর থেকে 19 লক্ষ 40 হাজার হেক্টরে। কিন্তু 2017-18 সালে তা মাত্র 2 লক্ষ 80 হাজার হেক্টরে নেমে গিয়েছিল। আর এখন দাঁড়িয়ে আছে 2 লক্ষ 60 হাজার হেক্টরে।
যে কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ সূর্যমুখী তেল আমদানি করতে হয় ইউক্রেন থেকে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ফলে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ছ্যাকা লেগেছে গৃহস্থের পকেটে। সরকারের আশা, দেশে তৈলবীজের উৎপাদন বাড়াতে পারলে বিদেশে দামের উপর এটা নির্ভরশীল থাকতে হবে না।
Published: May 11, 2023, 06:40 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App