মদের উৎপাদন খরচ মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি হল CIF ভ্যালু আর অন্যটি হল প্রফিট ও মার্জিন। কাস্টমস ডিউটি সাধারণত CIF ভ্যালুর উপর লাগু হয়। এই করের পরিমাণ CIF ভ্যালুর 150%। আর এক্সাইজ ডিউটি বা উৎপাদন শুল্ক লাগু হয় উৎপাদনের মোট খরচের উপর। এর হার এই খরচের 85%। আর VAT-এর পরিমাণ হয়ে থাকে 25%।
আপনি কি মদ্যপায়ী? তাহলে আপনি কি জানেন প্রতি বোতল মদের জন্য আপনি যে টাকা খরচ করেন তার প্রায় দুই তৃতীয়াংশই আপনি দিয়ে থাকেন সরকারি কর ও রিটেলারের লাভের জন্য। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনছেন। যদি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের দাম হয় 2500 টাকা, তাহলে মোটামুটি আপনি 1500 টাকার বেশিই কর-সহ বিবিধ বিষয় মেটাতেই খরচ করেন।
বিষয়টা একটা উদাহরণ দিয়ে বললে আরও সহজ হবে। ধরুন আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড জনি ওয়াকার রেড লেবেল। তথ্য বলছে, এই ব্র্যান্ডের মদের উৎপাদন মূল্য 548 টাকা। এর উপর কাস্টমস এবং এক্সাইজ বাবাদ লাগু হয় 262 ও 467 টাকা। তারপর আছে 25% ভ্যাট। অর্থাৎ 320 টাকা। এই কর নিয়ে মোট দাম হচ্ছে 1,597 টাকা।
এর উপর রিটেলারের মার্জিন ও তার উপর ভ্যাটের পরিমাণ হয় যথাক্রমে 82 টাকা ও 21 টাকা। এই দাম যুক্ত হয়ে রেড লেবেলের রিটেল প্রাইস দাঁড়ায় 1700 টাকা।
আর যদি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড হয় ব্ল্যাক লেবেল। তাহলে উৎপাদন মূল্য দাঁড়ায় 1,133 টাকা। এর উপর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট যুক্ত হয়ে দাম হয় 3,185 টাকা। এরপর রিটেল মার্জিন ও তার উপর ভ্যাট ধরলে সেই মদের দাম হচ্ছে 3,310 টাকা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মদের উৎপাদন খরচ মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি হল CIF ভ্যালু আর অন্যটি হল প্রফিট ও মার্জিন। কাস্টমস ডিউটি সাধারণত CIF ভ্যালুর উপর লাগু হয়। এই করের পরিমাণ CIF ভ্যালুর 150%। আর এক্সাইজ ডিউটি বা উৎপাদন শুল্ক লাগু হয় উৎপাদনের মোট খরচের উপর। এর হার এই খরচের 85%। আর VAT-এর পরিমাণ হয়ে থাকে 25%।
এর সঙ্গে রয়েছে রিটেলারের লাভের হার ও তার 25% VAT। এই সব মিলিয়েই মদের রিটেল প্রাইস নির্ধারণ করা হয়। দেখা যাচ্ছে কোনও মদের যা উৎপাদন খরচ, তার দ্বিগুণ কর ও অন্যান্য খরচ হিসেবে এর উপর চাপে। তারপর সেই দামেই আমরা বাজার থেকে কিনে থাকি।