তবে IMF বা আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডার এই বৃদ্ধির হার 5.9 শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস করেছে। এর আগে তারা জানিয়েছিল এই বৃদ্ধির হার হতে পারে 6.1 শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপে ব্যাঙ্কিং শিল্পে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তার থেকে এদেশের ব্যাঙ্কগুলি যে নিজেদের আড়াল করে রাখতে পারবে সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত সরকার।
ভারতের বৃদ্ধির হার বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে হবে বলেই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে ঘাটতি, উন্নত দেশগুলির ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সমস্যা এবং এল নিনোর কারণে স্বাভাবিক বর্ষা না হলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধির হারও ধাক্কা খেতে পারে।
সম্প্রতি দেশে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিজিট, ব্যাঙ্কগুলির মজবুত আর্থিক ভিত্তি, নিয়ন্ত্রণে থাকা মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয় এই বৃদ্ধির হার তরাণ্বিত করতে পারে বলেই মনে করছে অর্থমন্ত্রক। মন্ত্রক মনে করছে চলতি অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার 6.5 শতাংশ হতে পারে। তা যদি হয়, তাহলে গত অর্থবর্ষের তুলনায় বৃদ্ধির হার বেশ খানিকটা কমবে। উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ FY2023-এ ভারতের বৃদ্ধির হার ছিল 7 শতাংশ।
তবে IMF বা আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডার এই বৃদ্ধির হার 5.9 শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস করেছে। এর আগে তারা জানিয়েছিল এই বৃদ্ধির হার হতে পারে 6.1 শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপে ব্যাঙ্কিং শিল্পে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তার থেকে এদেশের ব্যাঙ্কগুলি যে নিজেদের আড়াল করে রাখতে পারবে সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত সরকার।
অপরিশোধিত তেলের দাম ভারতের বিশেষ শিরঃপীড়ার কারণ। বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধির গতি মার খেলে তার ধাক্কা এসে পড়তে পারে ভারতেও। উল্লেখ্য গত আর্থিক বছরে ভারতের বৃদ্ধির হার ছিল 7%। যদিও IMF-এর মতে এই বৃদ্ধির হার ছিল 6.8%।
Published: April 26, 2023, 10:07 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App