ভারতে বছরে 2.40 কোটি টন থেকে 2.50 কোটি টন ভোজ্য তেল ব্যবহার হয়। প্রতিবছর এর 56% আমদানি করতে হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়া থেকে প্রতিবছর পাম তেল আমদানি করা হয় বছরে প্রায় 80 লক্ষ টন।
ভোজ্য তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলিকে তাঁদের পণ্যের দাম কমাতে বলল খাদ্যমন্ত্রক। সরকারের যুক্তি, বিশ্বজুড়ে সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল, পাম তেলের দাম কমেছে। পাশাপাশি, দেশে সরষে, চিনাবাদাম ও সয়াবিনের তৈলবীজের প্রচুর ফলন হয়েছে। অতীতে তেলের বিভিন্ন ব্রান্ড দাম কমলেও বিশ্ববাজারে তেলের যা দাম তার তুলনায় এইসব প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত দাম সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছে খাদ্য মন্ত্রক। অর্থাৎ সরকারের মতে, তেলের দাম আরও কমার অবকাশ রয়েছে।
এই দেশে ভোজ্য তেল যারা বানায় সেই সব সংস্থার সংগঠনকে বলা হয় সলভেন্ট এক্সটেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সরকার এই সংগঠনকে বলেছে বাজারের দামের তুলনায় ভোজ্য তেলের দাম এখনও বেশি। মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, 2 মে বাদাম তেল ও পাম তেলের খুচরো দাম ছিল যথাক্রমে লিটারপ্রতি 185 টাকা ও 105 টাকা। বস্তুত গত তিন মাস ধরে এই দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সরষের তেলের দাম তিনমাস আগে যা ছিল, মঙ্গলবার তার থেকে 9% কমে লিটারপ্রতি 150 টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এ দেশে ভোজ্য তেলের বাজারের 40% রয়েছে সরষের তেলের দখলে। 24% রয়েছে সয়াবিন তেল আর 7% রয়েছে বাদাম তেলের দখলে। 2022-এর নভেম্বর থেকে 2023 সালের মার্চ, এই পাঁচ মাসে ভোজ্য তেলের আমদানি গত বছরের তুলনীয় সময়ের নিরিখে 23.7% বেড়ে ঠেকেছিল 69.80 লক্ষ টনে।
ভারতে বছরে 2.40 কোটি টন থেকে 2.50 কোটি টন ভোজ্য তেল ব্যবহার হয়। প্রতিবছর এর 56% আমদানি করতে হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়া থেকে প্রতিবছর পাম তেল আমদানি করা হয় বছরে প্রায় 80 লক্ষ টন।
যে পরিমাণ ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়, তার 60% আসে মুম্বই বন্দরে। যে পরিমাণ ভোজ্যতেল দেশে আমদানি করা হয় তার মধ্যে 60% পাম তেল। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এই বছরের 28 এপ্রিল এই বন্দরে পাম তেলের দাম 44% কমে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি 1,000 ডলারে। 2022-এর এপ্রিলে এই দাম ছিল 1,791 ডলার।
আমদানি করা অশোধিত সয়া তেলের ক্ষেত্রে দাম কমার মাত্রা আরও বেশি। এই হার প্রায় 50%। সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে 55%। মার্চ মাসে ভোজ্যতেল ক্ষেত্রের মুদ্রাস্ফীতি কমেছিল 7.86%। এপ্রিলে সরষের তেলের দাম কমেছে 14.65%। মার্চে সূর্যমুখী, সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমেছে প্রায় 11%।
Solvent extraction association-এর এক কর্তা অভিযোগ করেছেন, পাম তেল সমানে আমদানি করার ফলে তেলের দাম সমানে কমছে। এর ফলে সরষে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ পাম তেলের দাম কমার ফলে সরষের তেলের চাহিদা কমেছে আর তাই সরষের তেলের দামের ওপরেও নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। অশোধিত পাম তেল, সয়াবিন তেল আর সূর্যমুখী তেলে 5% সেস চাপানো হয় আর তার ওপর বসে 10% শিক্ষা সেস।
Published: May 3, 2023, 07:53 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App