পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল আম-আদমির। মাত্র 15 দিনের মধ্যে দেশের পাইকারি বাজারে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্নার সামগ্রীর দাম 60 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এক সপ্তাহের এর দাম বেড়েছে 18 শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের প্রতি কিলো পেঁয়াজ ইতিমধ্যে 50 টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আপাতত পেঁয়াজের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরে নতুন ফসল বাজারে আসবে। তার আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
ঘরোয়া বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। রফতানিতে বসানো হয়েছে 40 শতাংশ শুল্কের বোঝা। সরকারি আধিকারিকদের আশা ছিল, এর ফলে রফতানি কমবে। ফলে ঘরোয়া বাজারে সরবরাহ বাড়বে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্নার সামগ্রীর। আর এই দুইয়ে মিলে বাজারের স্বাভাবিক নিয়মে ধীরে ধীরে কমবে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু সরকারি এই দাওয়াই আদৌ কোনও কাজে আসেনি। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, লাফিয়ে বাড়ছে এর দাম।
পেঁয়াজের রাজধানী বলা হয় মহারাষ্ট্রের নাসিককে। নাসিকের দামের উপরে অনেকাংশে নির্ভর করে দেশে পেঁয়াজের দাম কী হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত 10 অক্টোবর নাসিকের লাসালগাঁও পাইকারি বাজারে প্রতি কিলো পেঁয়াজের গড় দাম ছিল 24 টাকা। গত 24 অক্টোবর সেই দাম বেড়ে হয়েছে 38 টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূলত খারিফ ফসল দেরিতে বাজারে আসার আশঙ্কার কারণে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজারে দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
এপ্রিল-জুন মাসে পেঁয়াজের ফসল ঘরে তোলে চাষিরা। একে বলে রবি ফসল। এই পেঁয়াজ ভারতের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের 65 শতাংশ। এর পরে অক্টোবর-নভেম্বরে পেঁয়াজের খরিফ ফসল কাটা হয়।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল, এ বছর সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজের দাম চরমে উঠবে। অক্টোবর-নভেম্বরে পেঁয়াজের খরিফ ফসল বাজারে না আশা পর্যন্ত গৃহস্তের নাভিশ্বাস উঠবে।
Published: October 26, 2023, 13:46 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App