দুধের দাম বৃদ্ধি এখন মানুষের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি মাখন, ঘি এবং পনির ইত্যাদির মতো দুগ্ধজাত পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর একটি কারণ হল চর্মরোগ। গবাদি পশুর চর্মরোগের কারণে দুধ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধ উৎপাদনের খরচও বেড়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগের কারণে পশু মৃত্যু দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ৩ সপ্তাহ আগের তুলনায় যা ১০০ শতাংশ বেশী।
অগাস্টের শেষের দিকে ৪৯ হাজার ৬৮২ প্রাণী চর্মরোগের কারণে মারা গিয়েছিল। ১৫টি রাজ্যের ২৫০টি জেলার প্রাণী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাজস্থানে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ কারণ সেখানে ৬৪ হাজারেরও বেশি পশু মারা গিয়েছে। শুধু মৃত্যুর পরিসংখ্যান নয়,রোগে আক্রান্ত প্রাণীর সংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
অগাস্টের শেষ নাগাদ ১১.২ লক্ষ পশুর মধ্যে এই রোগ সংক্রমিত হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যে সব প্রানীরা দুধ দিয়ে থাকে তাদের যখন চর্মরোগে আক্রান্ত হয় তখন তাদের দুধ উৎপাদন ৬০ শতাংশ কমে যায়। এমনকি পশুরা রোগমুক্ত হওয়ার পরও তাদের স্বাভাবিক মাত্রায় দুধ উৎপাদন শুরু করতে কিছুটা সময় লাগে। তাই পশুরা সুস্থ হয়ে গেলেও তাদের উৎপাদন আগের মতো হবে না। এই কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুধ উৎপাদন কম হওয়ার।
আন্তর্জাতিক ডেয়ারি কনসালট্যান্ট ড. আর এস খান্না বলেন, যে রাজ্যগুলিতে চর্মরোগে পশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি সেখানে দুধের উৎপাদন ২-৪ শতাংশ কম হতে পারে।
তিনি এও বলেন যে এই কম দুধ উৎপাদন মাখন এবং ঘি সরবরাহের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই কারণে দুধের পাশাপাশি মাখন, ঘি সহ অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের দামও দীর্ঘমেয়াদে বাড়তে পারে।
শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। এই মরশুমে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য যেমন ঘি, মাখন ইত্যাদির চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। দাম বাড়ার ফলে মানুষের পকেটেও প্রভাব পড়বে।
বিশ্ববাজারে ইউক্রেন দুগ্ধজাত পণ্যের একটি বড় সরবরাহকারী দেশ। তবে সেখান থেকেও এই বছর সরবরাহ কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের দামে। একইসঙ্গে প্রভাব পড়বে ভারতেও।
Published: September 30, 2022, 12:37 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App