সুপ্রিম-ব্যখ্যার অপেক্ষা, আপাতত ‘জালিয়াত’ ঘোষণা স্থগিত ব্যাঙ্কগুলির
1 এপ্রিল থেকে কাউকে জালিয়াত ঘোষণা করছে না ব্যাঙ্কগুলি। সুপ্রিম কোর্টের ব্যখ্যা পাওয়া গেলে এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছে করেই তা পরিশোধ করেন না, তাঁদের ফ্রড বা জালিয়াত ঘোষণা করা আপাতত বন্ধ রাখল দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এ কথা জানিয়েছে বাণিজ্যিক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কিং শিল্প এখন এ ব্যপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। গত 27 মার্চ ফ্রড অ্যাকাউন্টের বিষয়ে শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে সে সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট করার আবেদন জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রজনীশ কর্নাটককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে 1 এপ্রিল থেকে কাউকে জালিয়াত ঘোষণা করছে না ব্যাঙ্কগুলি। সুপ্রিম কোর্টের ব্যখ্যা পাওয়া গেলে এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপকি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির এক বেঞ্চ 2020 সালের ডিসেম্বরে তেলেঙ্গনা হাইকোর্টের একটি রায়ের সঙ্গে একমত হয়ে বলেছে যে, কোনও অ্যাকাউন্টের গায়ে ফ্রড বা জালিয়াতের তকমা সেঁটে দেওয়ার আগে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন তাঁদের বক্তব্য একবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের শোনা উচিত।
তাছাড়া ফরেন্সিক অডিট বা অপরাধ মূলক কাজের সন্ধান করতে যে অডিট করা হয় তার ফলাফল বোঝার জন্যও ঋণ যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের অবকাশ দিতে বলেছিল হাইকোর্ট।
আর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের MD ওই সংবাদপত্রকে বলেছেন যে ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সার্কুলার জারি করা হবে। তবে এই জালিয়াত ঘোষণা আপাতত বন্ধ হওয়ার ফলে যে ব্যাঙ্কিং শিল্পের কোনও ক্ষতি হবে না, তাতে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
‘ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেরোত না দিলে তখন ফ্রড ঘোষণার প্রশ্ন ওঠে। এখন ব্যাঙ্কিং শিল্পে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম। নতুন NPA তৈরি হচ্ছে কম। ফলে এ নিয়ে ব্যাঙ্কের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই এখন,’ বলেছেন এক সংস্থার প্রধান।
আর এক প্রতিষ্ঠানের কর্তা জানিয়েছেন, তাঁর ধারনা, এই জালিয়াত তকমা তাঁদের দেওয়া হবে যাঁরা অন্তত 50 কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। যদি সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত স্তরে ছোটখাট ঋণ নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য হবে না বলে তাঁদের ধারনা।
গত কয়েক বছরে বিজয় মালিয়া থেকে নীরব মোদির মতো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরে ব্যাঙ্ক ফ্রড বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে হইচই হয়েছে। এটি একটি উত্তপ্ত রাজনীতির বিষয়ও হয়েছে।
Published: May 9, 2023, 09:01 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App