ই-গেমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বৈধ ই-স্পোর্টস এবং ফ্যান্টাসি গেমিং কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধরণের কোম্পানির উদাহরণ হল Games24x7 এবং Head Digital।
IPL বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ জমে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেশি কিছু বেটিং অ্যাপ। আর এগুলিকে সরাসরি ব্যান করার দাবি নিয়ে সরকারের দরজায় কড়া নাড়ছে ই-গেমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার কর্তারা। ইংরেজি বাণিজ্যিক দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, Parimatch, Betway, 1XBet, Betfair, Crickex, Fairplay ও Lotus365-এর মতো বেটিং অ্যাপগুলি বেআইনি এবং এগুলিকে অবিলম্বে ব্যান করা উচিত।
ই-গেমিং ফেডারেশন অভিযোগ করেছে IPL-এর মরশুমে বেশি গ্রাহক টানতে এই অ্যাপগুলি ডিসকাউন্ট এবং ‘treasure hunt’ অফার করছে। এমনকি ক্রিকেট ভক্তদের প্রলুব্ধ করতে ম্যাচের টিকিটও দেওয়ার টোপ দেওয়া হচ্ছে।
ই-গেমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বৈধ ই-স্পোর্টস এবং ফ্যান্টাসি গেমিং কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধরণের কোম্পানির উদাহরণ হল Games24x7 এবং Head Digital।
ফেডারেশনের প্রধান অনুরাগ সাক্সেনা ওই সংবাদপত্রকে বলেছেন, অবৈধ সাইটগুলি অনেক সমস্যা নিয়ে আসে, যেমন “কর এবং ডেটা চুরি, মানি লন্ডারিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি”।
2021 সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ভারতে অনলাইন বাজি এবং জুয়া নিষিদ্ধ।
রিপোর্টে বলে হয়েছে ডিজিটাল জালিয়াতি সনাক্তকারী সংস্থা mFilterIt-এর মতে, এই প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার ব্যবহারকারীদের সহজে আর্থিক জালিয়াতি ও অপব্যবহারের মুখে থেকে দেয়। তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও নিরাপদ থাকে না।
mFilterIt ভারতীয় অর্থপ্রদান যন্ত্রগুলির অননুমোদিত ব্যবহার পরীক্ষা করার জন্য প্রতিদিন 1,500 টিরও বেশি ওয়েবসাইট স্ক্যান করে। পাশাপাশি স্ক্যান করে ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই), মোবাইল পেমেন্ট ওয়ালেট এবং ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড।
“এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে, ব্যবহারকারীরা জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী, খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স, ওভারে করা রান বা উইকেটে বাজি রাখতে পারে,” বলেছেন mFilterIt এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত রেলান।
যদিও ভারতে বেআইনি বাজি এবং জুয়ার শিল্প পরিমাপ করার জন্য কোনও সরকারী পরিসংখ্যান নেই, একটি স্বাধীন সংস্থা থিঙ্ক চেঞ্জ ফোরাম অনুমান করেছে যে তারা 2023 সালে প্রায় 10,000 কোটি ডলার বা প্রায় 8.3 লক্ষ কোটি টাকা জমা রেকর্ড করেছে। অংশগ্রহণকারী “খেলোয়াড়ের” সংখ্যা ছিল 14 কোটিরও বেশি।
এই ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ মহাদেববুক বেটিং সিন্ডিকেটের একটি অংশ ছিল। পরে এগুলি নতুন অবতারে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিভিন্ন ডোমেন নামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের প্রাক্তন সাইবার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী গুলশান রাই বলেছেন, সরকার নতুন নিয়মের কথা ভাবছে যাতে এই বিপদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। “যদি সরকার একটি KYC ডাটাবেস তৈরি করে তাহলে খেলোয়াড়, অবৈধ খেলোয়াড় খুঁজে বের করা খুব কঠিন হবে না,” রাই বলেছেন।
একজন সরকারী আধিকারিক বলেছেন যে এই সাইটগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা রাজ্যগুলির উপর নির্ভর করে।
Published: April 8, 2024, 08:03 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App