এল নিনোর প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি 15-20 বেসিস পয়েন্ট বাড়তে পারে
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত দেরিতে বর্ষার কারণে পিছিয়ে গেছে খরিফ শস্য বীজ বপন। আবার নানা খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত দু'সপ্তাহে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম 5 থেকে 15% বেড়েছে।
বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে অল্প কম হলেই ইতরবিশেষ হয়তো হবেনা, কিন্তু এল নিনোর প্রভাব যদি তীব্র হয়, তাহলে শুধুমাত্র সেই কারণেই মুদ্রাস্ফীতি 15-20 বেসিস পয়েন্ট বাড়তে পারে। বাণিজ্যিক দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস-এ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে যদি কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
1 বেসিস পয়েন্ট হলো এক শতাংশের 100 ভাগের 1 ভাগ।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত দেরিতে বর্ষার কারণে পিছিয়ে গেছে খরিফ শস্য বীজ বপন। আবার নানা খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত দু’সপ্তাহে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম 5 থেকে 15% বেড়েছে।
উলেখ্য, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারের অঙ্ক কষতে যে সূচক রয়েছে তাতে 100-র মধ্যে 45.86 গুরুত্ব খাদ্যপণ্যের। এতো গুরুত্ব আর কোনও শ্রেণীর পণ্যের নেই। ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেই তার প্রভাব সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতিতে পড়ে সবচেয়ে বেশি।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন মুদ্রাস্ফীতির হার আপাতত কমলেও সন্তুষ্টির কোনও অবকাশ নেই। এল নিনোর প্রভাবে যদি বর্ষা মার খায় তাহলে মুদ্রাস্ফীতি আবার মাথাচাড়া দিতে পারে।
ICICI Securities-এর অর্থনীতিবিদ অভিষেক উপাধ্যায় মনে করেন RBI যে শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে তার কারণে 50 বেসিস পয়েন্টের (বা 0.50 %) থেকে সামান্য কম বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতির হার।
গবেষণা সংস্থা কোয়ান্টিকো-র অর্থনীতিবিদ জুবিকা সিংহল মনে করেন খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে তা কমাতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এল নিনোর প্রভাব তীব্র হলেই খাদ্যপণ্যের দাম অবশ্যই বাড়তে পারে বলেই তাঁর ধারণা।
ইন্ডিয়া রেটিংস এন্ড রিসার্চ-এর বিশ্লেষক পরশ জাসরাই বলেন, আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি 7-8%-এ টি গেলে সরকার তা বরদাস্ত করবে না।
RBI পূর্বাভাস দিয়েছে যে চলতি বছরের মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে 5.1%। মে মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার 4.25%-এ ঠেকেছিল। গত 25 মাসে এটাই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির সর্বনিম্ন স্তর।
জুন মাসে ইতিমধ্যেই যে সব খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তার তালিকায় আছে চাল, চিঁড়ে, মুড়ি, জোয়ার, বাজরা. এমনকি মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে হু হু করে।
দাম কমাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও গম ও ডালের দামও কমার কোনও লক্ষণ নেই।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে বর্ষা ভালো করে শুরু না হলে আর খরিফ শস্যের বীজ বপন শুরু না হলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
বর্ষা দেরির ফলে খরিফ শস্যের বীজ বপন 10-12 দিন পিছিয়ে গেছে। সরকারি অভাব দফতর স্বাভাবিক বর্ষার পূর্ভাবাস দিলেও বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট বলেছে জুলাই-এর প্রথম সপ্তাহের আগেই বর্ষা স্বাভাবিক হওয়ার বিশেষ আশা নেই। সেক্ষেত্রে ফলন মার খাবার আশঙ্কা তীব্র।
Published: June 21, 2023, 12:53 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App