ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার পর পুরনো মিত্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে রাশিয়ার। বিশেষকরে উন্নত পশ্চিমি দেশগুলির আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে দিল্লির দিকে মৈত্রীর হাত আরও শক্ত করে ধরে মস্কো। ইতিমধ্যে ভারতকে অশোধীত তেল অনেক বেশি করে বিক্রি শুরু করেছে তারা। এখন খাদ্যদ্রব্য, গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এদেশ থেকে 50 সদস্যের একটি দল রাশিয়া সফরে গিয়েছে। মস্কোর তরফে এই সব পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এই সফল বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদে।
গত বছর 24 ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। ইউক্রেনকে NATO-তে যোগ দেওয়া থেকে বিরত করতে চান ভ্লাদিমির পুতিন। এক বছরের বেশি ধরে যুদ্ধে ইউক্রেন বিপুল ধ্বংসের সম্মুখীন হলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। পশ্চিমি দেশগুলি থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে রাশিয়ার আর্থিক ক্ষতি কিছু কম হয়নি।
মস্কো থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের 50 সদস্যের দল তিনদিনের সফরে গিয়েছে।
লক্ষ্য কীভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো যায়। ফেডারেশনের ডিরেক্টর অজয় সহায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে প্রসেসড ফুড, সয়াবিন, পশুখাদ্য ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায়। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চালু হওয়ার পর বেশ কিছু পশ্চিমি দেশের সংস্থা রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এদেশ থেকে রফতানি বাড়ানো যেতে পারে।
এই সফরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের পণ্য রুপি-রুবল বাণিজ্য পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা আবার উঠেছে। এই ব্যবস্থার মূল কথা হল ডলারের পরিবর্তে টাকায় মূল্য চোকানো যেতে পারে।
রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, চলতি ব্যবস্থায় প্রাত্যয়িক লেনদেনে তাঁদের 4% লোকসান হয়। রুপি-রুবল ব্যবসা চালু হলে তাঁদের সেই ক্ষতি আর হবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত রাশিয়া থেকে অশোধীত তেল আমদানির পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত রাশিয়া থেকে প্রত্যেক দিন 16 লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যা সৌদি আরব ও ইরাক থেকে আমদানির মোট পরিমাণকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার থেকে অশোধীত তেল বিশ্বেবাজারের থেকে কিছু কম দামে পেয়েছে ভারত।
Published: April 27, 2023, 09:00 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App