চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ভারতে সোনার চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ওই তিন মাসে দেশে এই ধাতুর চাহিদা 17 শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে 112.5 টন। অথচ 2022 সালের তুলনীয় সময়ে দেশে সোনার চাহিদা ছিল 135.5 টন। সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (WGC)। সোনার রেকর্ড দর এবং দামের ব্যাপক ওঠানামা চাহিদায় প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। একই প্রবণতা বিশ্ববাজারেও দেখা গিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ‘গোল্ড ডিমান্ড ট্রেন্ডস্ Q1 2023’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতে 2023 সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনার চাহিদা তার আগের বছরের তুলনীয় সময়ের নিরিখে 17 শতাংশ কমে 112.5 টনে দাঁড়িয়েছে। এই সময় সোনার গয়নার চাহিদাও কমেছে। 2022 সালের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে যা ছিল 94.2 টন, এ বছরের তুলনীয় সময়ে তা হয়েছে 78 টন। তবে উল্লেখ্যভাবে এই সময়ে লগ্নিকারীদের থেকে সোনায় ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে WGC-র রিজিওনাল CEO (ইন্ডিয়া) সোমাসুন্দরম পি.আর. সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘2010 সাল থেকে মহামারীর সময়টা বাদ দিলে এই চতুর্থ বার কোনও বছরের প্রথম তিন মাসে সোনার গয়নার চাহিদা 100 টনের নীচে নেমে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চড়া দাম সোনার প্রতি ক্রেতাদের উদাসীন করছে। সেইসঙ্গে অস্থিরতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তার বাতাবরণের কারণে উৎসব ও ‘শুভদিনে’ কাঙ্খিত সোনার গয়নার বিক্রি হয়নি। আবার ভবিষ্যতে দাম কমতে পারে এই ভাবনায়ও অনেকে গয়না কেনার ভাবনা পিছিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে প্রায় 10 টন বা 10,000 কিলোগ্রাম সোনা কিনেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সোনার ক্রেতা হিসাবে উঠে এসেছে RBI। অন্য দেশগুলি হল চিন, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং তুরস্ক। গত বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে 27 টন বা 27,000 কিলো সোনা কিনেছিল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সাম্প্রতিক এই ক্রয়ের ফলে RBI-এর সোনার ভান্ডার 800 টনের সামান্য নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের পরিসংখ্যানে প্রকাশ গত পাঁচ বছরে ক্রমাগত সোনা কিনছে RBI। এই সময় প্রায় 230 টন বা 2.30 লক্ষ কিলো সোনা ক্রয় করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
Published: May 5, 2023, 10:53 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App