দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার উল্লেখযোগ্য কমেছে। গত বছর যার 6 শতাংশ, এমনকী 7 শতাংপনাশের অনেক উপরে ছিল, গত মাসে তা নেমে এসেছে 4.7 শতাংশে। আপাতত খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কম থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। এমন অবস্থায় কাঁচা মালের দামও কমছে আর সেই পড়তি দামের সুযোগ সাধারণ মানুষ পাবেন বলে বেশ কিছু ভোগ্যপণ্য নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছে বাণিজ্যিক দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমস’কে।
এই সংস্থাগুলির কর্তারা বলেছেন যে হয় তাঁরা সরাসরি দাম কমাবেন নয় প্যাকের দাম একই রেখে পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন।
যাদের থেকে এই আশ্বাস মিলেছে সেই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস, ব্রিটানিয়া, ভোল্টাস, হ্যাভেলস, ব্লুস্টার।
ব্রিটানিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুন বেরি বলেছেন যে তাঁরা লাভের মাত্রা বাড়িয়ে রাখতে চান না এবং সেই কারণেই তাঁরা কিছু কিছু বিস্কুটের প্যাকের দাম কমাবেন।
উদাহরণস্বরুপ, ভোজ্য তেলের গড় দাম যা 2022 সালের এপ্রিল মাসে 2,000 ডলার প্রতি টন ছিল তা এখন কমে 950 ডলারে ঠেকেছে।
দেশের বৃহত্তম FMCG কোম্পানি হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের কর্তারা জানিয়েছেন যে কাঁচামালের দাম কমায় সাবান ও ডিটারজেন্ট সাবানের দাম ইতিমধ্যেই কমিয়েছেন তাঁরা।
এর ফলে তাঁদের বিক্রির পরিমাণও বাড়বে বলে সংস্থাগুলি মনে করছে।
টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনীল ডি’সুজা বলেছেন যে চা ও কফির দাম ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে।
ভোল্টাস আর ব্লু স্টার-এর মতো সংস্থা যারা আগে এপ্রিল মাসে দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল তারা দাম বাড়ায়নি। কারণ তাদের যন্ত্রাংশের দাম কমেছে। উল্টে AC, রেফ্রিজারেটরে প্রচুর ডিসকাউন্ট দিচ্ছে তারা।
প্রায় সব সংস্থা জানিয়েছে তাদের কাঁচামালের ওপরে মুদ্রাস্ফীতি যা 10 শতাংশের বেশি হারে বাড়ছিল, তা এখন নেমে এসেছে 6-7 শতাংশের মধ্যে। তাই জিনিসের দাম কমাতে পারবে তারা।