কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়ে সরকারের সমস্যা কখনোই শেষ হবে না বলে মনে হচ্ছে। আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা যেমন বেড়েছে তেমনি রপ্তানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে। মোট পণ্য রপ্তানির বড় অংশে কৃষির অবদান রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে রপ্তানিতে কৃষির অংশ হ্রাস পেতে পারে। কারণ ভারতের কিছু কৃষি পণ্যের উপর রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যার কারণে কিছু রপ্তানি কমানো হয়েছে। এছাড়াও দেশে চাহিদা কম থাকায় রপ্তানিতে তার প্রভাব পড়ছে।
চলতি বছর মোট কৃষি রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। কৃষি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই বছর প্রায় ২,৩০০ কোটি ডলার কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ১,৯২০ কোটি ডলার কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত মোট কৃষি পণ্য রপ্তানিতে চাল ও গমের অংশ ২৫ শতাংশ। যার মূল্য প্রায় ৬১২ কোটি ডলার। কিন্তু এখন সরকার চাল ও গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গম ও চালের পাশাপাশি রপ্তানিতে তুলো ও চিনিরও বড় অবদান রয়েছে।
কিন্তু এই দুই পণ্যের রপ্তানির ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন পর্যন্ত চিনি রপ্তানির বিষয়ে কোনও নীতি তৈরী হয়নি। এ বছর চিনি রপ্তানি ৮০ লক্ষ টনের বেশি হবে না। গত বছর রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টনের বেশি। এখন মন্দার আশঙ্কায় তুলোর চাহিদা কমতে পারে।
এ বছর ফল, সবজি, ডাল ও মাংসের রপ্তানি বেড়েছে। তবে মোট কৃষি রপ্তানিতে এগুলির অংশ কম, আর এসব কারণে রপ্তানিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তার উপর মন্দার আশঙ্কাও এই চাহিদাকে প্রভাবিত করতে পারে। গত বছর কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫,000 কোটি ডলারের বেশি।
এতে উৎসাহিত হয়ে সরকার চলতি বছর মোট পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৪৭,০০০ কোটি ডলার। কিন্তু বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কায় এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা ম্লান করে দিয়েছে। বর্তমান পরিবেশে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারব বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে। ফলে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অবস্থা আরও খারাপ করবে।
Published: October 20, 2022, 12:22 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App