আমাদের জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন টাকার অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন হয়। হাতে টাকা না থাকলে তখন পার্সোনাল লোনই হল একমাত্র বিকল্প। যদিও এই ঋণে সুদের হার অনেকটাই বেশি, কিন্তু প্রয়োজনের সময় তা পাওয়া যায় বলে বহু মানুষই এই ঋণ নিয়ে থাকেন।
মানি৯ এই ঋণ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনার কাজে লাগবে।
১. আপনার আয়
যদি চাকুরীজীবি হন, আপনি সহজেই পার্সোনাল লোন পেতে পারেন। প্রধানত, যে ব্যাঙ্কে আপনার স্যালারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই ব্যাঙ্ক থেকেই পার্সোনাল লোন পাবেন। কারণ, ব্যাঙ্ক আপনার আর্থিক ক্ষমতা দেখে তবেই ঋণ নেয়।
২. ঋণের ইতিহাস
আপনি যদি কম সুদে ঋণ পেতে চান, তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকা অত্যন্ত জরুরী। ক্রেডিট স্কোর নির্ভর করে আপনি আগের ঋণ কেমনভাবে শোধ করেছেন তার উপর। তাই সকলেরই উচিত নেওয়া ঋণ সঠিক সময় ফেরত দেওয়া।
৩. ক্রেডিট স্কোর
যে কোনও ঋণপ্রদায়ী সংস্থা প্রথমে গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর পরীক্ষা করে নেন। পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার নির্ভর করে এই বিষয়ের উপর। ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকলে সুদের হার কম হয়। অন্যদিকে, ক্রেডিট স্কোর ততটা ভাল না থাকলে, সুদের হার অনেকটাই বেশি হতে পারে।
৪. ঋণের পরিমাণ
বেশি পরিমাণ ঋণ নেওয়ার সঙ্গে বেশি পরিমাণ ঝুঁকিও জড়িয়ে রয়েছে। অতএব, সুদের হার ঋণের পরিমাণের উপরও নির্ভর করে। সেই কারণে যতটা প্রয়োজন ততটাই ঋণ নিন, তার বেশি নয়।
৫. কাজের ধরন
পার্সোনাল লোনে সুদের হার আপনার চাকরির ধরন ও সংস্থার ভিত্তির উপর নির্ভর করে। আর্থিকভাবে দুর্বল সংস্থার কর্মচারী এবং অনিয়মিত বেতনভোগীদের ঋণ পেতে সমস্যা হয়। যদিও বা তাঁরা ঋণ পান, তাহলে সুদের হার বেশি হয়।
৬. ঋণদাতার সঙ্গে সম্পর্ক
আর্থিক বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কির মতে, ঋণ নিতে হলে গ্রাহককে প্রথমে সেই ব্যাঙ্কে যেতে হবে যেখানে তার অ্যাকাউন্ট আছে। সেই ব্যাঙ্কে গ্রাহকের ক্রেডিট হিস্ট্রি রয়েছে। সেখানে আপনি সহজে, কম হারে ঋণ পাবেন।
৭. বেঞ্চমার্ক রেট
রেপো রেটের মতো বেঞ্চমার্ক রেট ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হারকেও প্রভাবিত করে। রেপো রেট হল সেই হার যে হারে আরবিআই ব্যাঙ্ক আর্থিক সংস্থাগুলিকে ঋণ দেয়। আরবিআই যদি রেপো রেট কমায়, তবে গ্রাহকরা তুলনামূলকভাবে কম হারে পার্সোনাল লোন পেতে পারেন।
৮. ঋণ থেকে আয়ের অনুপাত
ধরুন আপনি একটি নামী কোম্পানিতে কাজ করেন এবং আপনার বেতনও ভাল। কিন্তু আপনার ঋণ এবং আয়ের অনুপাত অনুকূল না হয়। তাহলে আপনি কম সুদে ঋণ পাবেন না। এর অর্থ হল আপনি যা বেতন পান, তার বেশিরভাগই যদি ঋণ পরিশোধে চলে যায়, তাহলে আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ঋণ এবং আয়ের অনুপাত যত কম হবে, তত বেশি ঋণ কম সুদের হারে আপনি পাবেন।
৯. ঋণ শোধ করতে না পারার ইতিহাস
ঋণপ্রদায়ী সংস্থা আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি দেখে তারপরেই সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে। যদি আপনি সময়মতো আপনার পুরানো ঋণ পরিশোধ না করেন, তাহলে ঋণপ্রদায়ী সংস্থা সুদের হার বেশি রাখবে অথবা আপনাকে ঋণ দেবে না।
Published: January 24, 2022, 11:55 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App