ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিদেশে পড়তে যাওয়ার ঝোঁক বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, 2019 সালে এদেশ থেকে 10 লক্ষের বেশি পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। 2025 সালের মধ্যে এই সংখ্যা 15 থেকে 20 লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিদেশে পড়াশোনার জন্য অনেকেই শিক্ষাঋণ নিয়ে থাকেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জামানত না থাকায় অনেকের ঋণের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধকহীন শিক্ষাঋণ খুব উপকারি। কারণ এখানে ঋণ গ্রহীতাকে ঋণের জন্য কোনও সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় না।
নথিপত্রের ঝামেলা কম
বন্ধকহীন ঋণের সবথেকে বড় সুবিধা হল এখানে নথিপত্রের ঝামেলা খুব কম। ফলে খুব সহজে এবং দ্রুত ঋণের আবেদন মঞ্জুর হয়।
ঋণের অঙ্ক ও সুদের হার
বন্ধকহীন ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের অঙ্ক তুলনামূলক কম হয়। সুদের হারও থাকে বেশি। কারণ, এই ধরণের ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ঝুঁকি বেশি থাকে। বন্ধকহীন শিক্ষাঋণে সুদের হার সাধারণত 10.5 শতাংশ থেকে 14 শতাংশের মধ্যে হয়ে থাকে।
আবেদনের পদ্ধতি
অফলাইন এবং অনলাইন দু’ভাবেই পড়ুয়ারা আবেদন করা যায়। অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে হবে। এছাড়া ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজারের সাহায্য নেওয়া যায়।
ঋণ পাওয়ার শর্ত
বন্ধকহীন শিক্ষাঋণ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে আবেদনকারীকে।
i) আবেদনকারীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে অন্তত 60% নম্বর থাকতে হবে।
ii) কো-অ্যাপ্লিক্যান্টের ক্রেডিট স্কোর হতে হবে 600 পয়েন্টের বেশি।
iii) কো-অ্যাপ্লিক্যান্টের মাসিক আয় 35,000 টাকার বেশি হতে হবে।
iv) আরও একটি জরুরি বিষয় হল বর্তমানে তাঁর কাঁধে কোনও ঋণের কিস্তির বোঝা যাতে না থাকে।
v) কো-অ্যাপ্লিক্যান্টের নামে কোনও চালু ঋণ থাকলে ঋণের আর্জি খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
vi) কো-অ্যাপ্লিক্যান্টের 3 বছরের ITR অথবা দু’বছরের ফর্ম-16 জমা দিতে হবে।
vii) কো-অ্যাপ্লিক্যান্টকে অবশ্যই পরিবারের সদস্য হতে হবে। যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী বা স্ত্রী।
viii) কেবলমাত্র মাস্টার্স কোর্সের জন্য বন্ধকহীন শিক্ষাঋণ পাওয়া যায়। আবেদনকারীর কাছে অবশ্যই কোনও স্বীকৃত কোর্সে ভর্তির চিঠি থাকতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কের অনুমোদিত তালিকায় থাকতে হবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
Published: March 18, 2024, 11:13 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App