ব্যাঙ্ক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ডলার ঢালছেন বিদেশি লগ্নীকারীরা
ভারতে যে পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছে তা ঋণ নেওয়া হয়েছে তা 2021-22-এর তুলনায় 2022-23-এ 15% হারে বেড়েছে। এই হার গত সাত বছরের অন্যতম চড়া হার। NBFC বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় 20%।
বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাঙ্ক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির শেয়ার কিনেই চলেছে। বস্তুত সাম্প্রতিককালে তারা এই শ্রেণীর সংস্থার শেয়ার এত কিনছেন যে তাদের সামগ্রিক পোর্টফোলিওতে এই শেয়ারগুলির ভাগ 34.2% গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিমাণ গত 26 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যাঙ্ক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির শেয়ার (যাকে শেয়ার বাজারের ভাষায় BFSI বলা হয়) তাতে এই বিরাট পরিমাণ লগ্নি হয়েছে বলেই জানিয়েছে ব্রোকারেজ সংস্থা মতিলাল ওসোয়াল।
এপ্রিল মাসেই 100 কোটি ডলার মূল্যের এই ধরনের সংস্থার শেয়ার কিনেছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলি। এই পরিমাণ তাদের মোট বিনিয়োগের প্রায় 66%। ব্রোকিং সংস্থার বক্তব্য, যে কারণগুলি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই ধরনের শেয়ারের দিকে আকর্ষণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে সুদের হার বৃদ্ধির প্রবণতার প্রায় শেষ হয়ে আসা, দেশের GDP-র নিরিখে শিল্পমহলের কম ঋণের মাত্র, মুদ্রাস্ফীতির হার কমে আসা ইত্যাদি।
এছাড়াও, ভারতে যে পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছে তা ঋণ নেওয়া হয়েছে তা 2021-22-এর তুলনায় 2022-23-এ 15% হারে বেড়েছে। এই হার গত সাত বছরের অন্যতম চড়া হার। NBFC বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় 20%। কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি ঋণ দেওয়ার অর্থ তাঁদের অ্যাসেট বা সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে, কারণ বাজারে দেওয়া এই ঋণ থেকেই ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মূল আয় হয়ে থাকে।
চলতি আর্থিক বছরেও এই ঋণ বৃদ্ধির হার 11-12% থাকবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া, অফেরতযোগ্য ঋণের পরিমাণ মোট ঋণ প্রদানের তুলনায় মাত্র 1.3% গিয়ে ঠেকেছে। যা কিনা গত 10 বছরের সর্বনিম্ন মাত্র। সুদের চড়া হার থেকেও লাভের মুখ দেখবে NBFC-গুলি। দেশের মিউচুয়াল ফান্ডগুলি NBFC-র শেয়ার বেশি কিনছে বলেই ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Published: May 17, 2023, 12:07 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App