Dormant Account: ঘুম থেকে উঠুন

যদি একটি অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকে তাহলে তার কী হয়, কী করেই বা সেই অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা যায়

বাড়ি পরিস্কার করার সময় অজিত ব্যাঙ্কের একটি পুরোনো পাসবই খুঁজে পেয়েছেন। সেখানেই তিনি জানতে পারেন তাঁর ওই অ্যাকাউন্টে এখনও 50 হাজার টাকা রয়েছে। এই পরিমাণ খুব একটা কম নয়। উৎসবের আগে সেই টাকা পেলে লাভই হবে সেই ভেবে ওই টাকা তোলার চেষ্টা শুরু করেন অজিত। তবে অজিত ভুলে গিয়েছেন এই অ্যাকাউন্ট এখনও চালু আছে না বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট কীভাবে পুনরায় চালু করা সম্ভব, সেটা নিয়েও চিন্তা রয়েছে তাঁর।

এখন প্রথমেই দেখা নেওয়া যাক যদি একটি অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকে তাহলে তার কী হয়, কী করেই বা সেই অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা যায়। অজিতের মতই বহু লোকেরই বর্তমানে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে এই অ্যাকাউন্টগুলি খুলে থাকেন। এর অন্যতম কারণ হল, একটি চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়া। এরকম ক্ষেত্রে অনেক সময়ই আপনি আপনার পুরোনো অ্যাকাউন্টের কথা ভুলে যেতে পারেন। তবে আপনার যদি সেভিংস কিংবা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে এক বছরের বেশি সময় ধরে লেনদেন না হয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট ইনঅ্যাকটিভ বলে গণ্য করা হয়।

একটি সেভিংস কিংবা কারেন্ট অ্যাকাউন্টকে তখনই ডরম্যান্ট বলে গণ্য করা হয় যখন সেই অ্যাকাউন্টে দু-বছর বা তার বেশি সময় ধরে লেনদেন হয় না। আপনি যদি এই সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা না দেন বা টাকা না তোলেন তাহলে অ্যাকাউন্ট ডরম্যান্ট হয়ে যায়। তখন সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনওরকম লেনদেন করা সম্ভব হয় না।

এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যেমন সুদ যেমন দেয় না, তেমনই কোনওরকম চার্জও কাটা হয় না। যদি কোনও ফিক্সড ডিপোজিট থেকে সুদ এই অ্যাকাউন্টে জমা হয় তাহলে সেই লেনদেন গ্রাহক করেছেন বলেই ধরে নেওয়া হয়।

কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডরম্যান্ট হয়ে গেলে ব্যাঙ্ক গ্রাহককে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা প্রতি বছর সব সেভিংস ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখে কোন অ্যাকাউন্টে লেনদেন হচ্ছে না। এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক গ্রাহককে ফোন, ইমেল, মেসেজের মাধ্যমে এই কথা জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন হয় না। একইসঙ্গে, গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বা টাকা তুলতে। আপনি যদি ব্যাঙ্কের পরামর্শ মতো লেনদেন করেন তাহলে তাঁর অ্যাকাউন্ট আবার চালু হয়ে যায়। আর যদি ব্যাঙ্ক গ্রাহকের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া না পায় তাবলে সেই অ্যাকাউন্ট সেই অবস্থাতেই থাকে।

আপনার অ্যাকাউন্ট ডরম্যান্ট হলেও আপনি অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার উপর সুদ পাবেন। কিন্তু সেই টাকার কোনওরকম লেনদেন করতে পারবেন না। কিন্তু তার মানে এই নয় অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা আপনি হাতে পাবেন না। ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টকে চালু করার জন্য গ্রাহককে ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে হবে। সেখানে একটি দরখাস্ত জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে জানাতে হবে কেন আপনি এতদিন ধরে অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন করেননি। পাশাপাশি, আপনাকে KYC-এর সমস্ত কাগজপত্রও বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে। এই সব জমা দেওয়ার 2-3 দিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে।

যদি অজিতের মত আপনারও কোনও অ্যাকাউন্ট থাকে, যাতে দীর্ঘদিন ধরে কোনও লেনদেন হয়নি তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে চালু করুন। কারণ একবার অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে গেলে তারপরেই আপনি যে কোনওরকম লেনদেন করতে পারবেন। তবে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট চালু করতে কোনওরকম চার্জ দিতে হয় না। আপনার অ্যাকাউন্ট যদি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে থাকে তাহলে সুখবর আপনার জন্য। কারণ এই ব্যাঙ্কের ডরম্যাট অ্যাকাউন্ট চালু করতে ব্যাঙ্ক আগামী 31 অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। যেখানে মাত্র এক দিনের মধ্যে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট চালু করা হচ্ছে।

Published: October 18, 2023, 14:03 IST

পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App