বিদেশে যাওয়ার আগে

অবিলম্বে নগদের প্রয়োজনে, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ফান্ড থাকলে, ATM থেকে টাকা তোলার জন্য আপনার ডেবিট কার্ডই ব্যবহার করা উচিত।

আপনি সপরিবারে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি বিভ্রান্ত। বিভ্রান্তির কারণ হল ট্রিপের সময় ডেবিট কার্ড ব্যবহার করবেন নাকি ক্রেডিট কার্ড। বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। টিকিট বুকিং, কোন কোন জায়গায় ঘুরবেন, কোন হোটেলে থাকবেন ইত্যাদি বিষয় আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। তারপরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল খরচ সম্পর্কিত।

যাঁরা প্রায়ই বিদেশে বেড়াতে যান, তাঁরা অতিরিক্ত খরচ এড়াতে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করবেন নাকি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন তা নিয়ে দ্বিধার মধ্যে পড়েন। প্রশ্ন হল, অতিরিক্ত খরচ এড়াতে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা সঠিক, নাকি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত? একটি ক্রেডিট কার্ড TCS ba tax collected at source এড়াতে সাহায্য করে। এখানে আরও একটি প্রশ্ন হল, আপনি যখন বিদেশে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন তখন আপনাকে কী ধরণের চার্জ দিতে হবে?

বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময়, এই ধরনের প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। তাহলে আজকের প্রতিবেদনে দেখা যাক কীভাবে আপনার বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করা উচিত।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে ডেবিট কার্ড দিয়ে খরচ মানে, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তখনি টাকা কেটে নেওয়া হবে। তাই, যদি বিদেশে আপনার খরচের হিসাব রাখতে চান তাহলে একটি ডেবিট কার্ড হল সঠিক অপশন। অন্যদিকে, বিদেশ ভ্রমণের সময় আপনার হাতে কম নগদ বা ফান্ড থাকলে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্য নিতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড 45 থেকে 50 দিনের ইন্টারেস্ট-ফ্রি পিরিয়ডের সুবিধা দিয়ে থাকে। যাতে আপনি পরে বিল পরিশোধ করতে সময় পান।

এবার বিভিন্ন ধরনের চার্জ সম্পর্কে জানা যাক। ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড উভয়ই বিদেশে করা প্রতিটি খরচের জন্য একটি markup fee নিয়ে থাকে। এটি সাধারণত লেনদেনের মূল্যের 1%। এর মানে হল 1,000 টাকার লেনদেনের জন্য 10 টাকা markup fee দিতে হবে।

ভারতের বাইরে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থপ্রদান বেশিরভাগই বিদেশী মুদ্রায় করা হয়। কার্ডের মাধ্যমে করা লেনদেনের মূল্য সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তরিত হয়। প্রতিটি লেনদেনের জন্য একটি forex conversion fee লাগে যা সাধারণত 3.5% পর্যন্ত হয়।

আপনি যদি ATM থেকে নগদ তোলার জন্য বিদেশে একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তবে আপনাকে শুধুমাত্র সুদের চার্জ নয়, foreign currency transaction fees, withdrawal fees, বা cash advance fees- দিতে হবে। cash advance fees 3.5% পর্যন্ত হয়ে থাকে। revolving credit-এর উপর 42% বার্ষিক সুদের চার্জ, বা বিদেশে খরচের জন্য 3.5% পর্যন্ত মাসিক সুদের চার্জ ধার্য করা হয়।

একইভাবে, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ATM থেকে টাকা তোলার জন্য flat withdrawal fee লাগে। এটি সাধারণত নগদ তোলার ফি থেকে অনেকটাই কম। প্রতিটি লেনদেনে সাধারণত 125 থেকে 150 টাকা flat withdrawal fee ধার্য করা হয়।

অতএব এটা স্পষ্ট যে অবিলম্বে নগদের প্রয়োজনে, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ফান্ড থাকলে, ATM থেকে টাকা তোলার জন্য আপনার ডেবিট কার্ডই ব্যবহার করা উচিত। নগদ তোলার জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

2023 অক্টোবর থেকে এর TCS-এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। কেউ যদি একটি অর্থবর্ষে 7 লক্ষ টাকার বেশি খরচ করেন তাহলে TCS-এর অর্থ দিতে হবে। ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে একটি অর্থবর্ষে 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করার জন্য কোনও TCS ধার্য করা হবে না। উপরন্তু, international credit card গুলির ক্ষেত্রে কোনও TCS নেই। এটি Liberalised Remittance Scheme -এর বাইরে রাখা হয়েছে।

বিদেশে খরচ করার সময়, আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের জন্য অতিরিক্ত চার্জ হিসাব করে দেখে নিন। তারপরে, সিদ্ধান্ত নিন কোন কার্ডটি ব্যবহার করবেন।

Published: January 17, 2024, 14:54 IST

পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App