কে ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পরে, ভারতীয় রিজার্ভ অবশেষে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে, 21 সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে খসড়া নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
RBI এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কারণ এ বছরের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলো যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে wilful defaulter বা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করার আগে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
RBI চলতি বছরের 31 অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের মতামত চেয়েছে। প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরে RBI চূড়ান্ত নিয়ম তৈরি করবে।
খসড়া নিয়ম অনুযায়ী ‘ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপ’ ঘটবে যখন ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার কাছে ঋণ পরিশোধ করা ক্ষমতা থাকলেও ঋণ পরিশোধ করবে না। নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্তত একটি লক্ষণীয় হবে- ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে:
RBI বলেছে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে কাউকে বর্ণনা করতে হোলে তাঁর কমপক্ষে 25 লক্ষ টাকা ঋণ বকেয়া থাকতে হবে। বা ওই পরিমান কত হবে তা সময়ে সময়ে RBI বিজ্ঞপ্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
লক্ষণীয় একটি বিষয় হল যে যদি কোনও কোম্পানিকে ইচ্ছাকৃত ডিফল্টার বলা হয় তাহলে তার প্রোমোটার, এবং ডিরেক্টর যারা ডিফল্টের সময় কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরও ইচ্ছাকৃত খেলাপি বা wilful defaulter বলে চিহ্নিত করা হবে। এছাড়া যারা কোম্পানি চালাচ্ছেন তারাও সেই ভাবে চিহ্নিত হবেন।
নতুন নিয়ম সর্বজনীনভাবে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে RBI। ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত RBI দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সত্ত্বা, অ-ব্যাঙ্ক ঋণদাতা সহ হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি, সমবায় ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্থানীয় এলাকা ব্যাঙ্ক এবং সমস্ত ভারতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন NABARD, SIDBI, EXIM ব্যাঙ্ক, NHB এবং NaBFID সবই এর আওতায় আসবে।
RBI জানিয়েছে যে ইচ্ছাকৃত ডিফল্টের কাজগুলি চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি সমস্ত দিক পরীক্ষা করবে। কমিটিটি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান গঠন করবে।
এই কমিটি – আইডেন্টিফিকেশন কমিটি নামে পরিচিত হবে. ঋণগ্রহীতা/জামিনদার/প্রবর্তক/পরিচালক/ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করবে এবং নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করবে। এই কমিটি সেই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রস্তাব প্রণয়নের আগে জমাগুলি বিবেচনা করবে। এটি ঋণগ্রহীতাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে লেবেল করার প্রস্তাব সম্পর্কেও মূল্যায়ন করবে।
দ্বিতীয় একটি কমিটি গঠন করা হবে. এর নাম হবে রিভিউ কমিটি. এটিও গঠন করবে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি আইডেন্টিফিকেশন কমিটির প্রস্তাব এবং ঋণগ্রহীতার লিখিত প্রতিনিধিত্ব উভয়ই বিবেচনা করবে। পর্যালোচনা কমিটির ঋণগ্রহীতাকে ব্যক্তিগত শুনানির অনুমতি দেওয়া উচিত। শুনানির পর এটি একটি “যুক্তিযুক্ত আদেশ” পাস করবে। রিভিউ কমিটির দায়িত্ব হবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির কাছে কী সিদ্ধান্ত নেয় তা জানানো।
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App