ঋণের সঙ্গে ক্রেডিট স্কোর বা CIBIL স্কোরের সরাসরি সম্পর্ক আছে। ক্রেডিট স্কোর ভালো হলে খুব সহজেই ঋণ পেয়ে যেতে পারেন আপনি। কারণ, একজন ঋণগ্রহীতা টাকা ফেরত দিতে পারবেন কি না, ক্রোডিট স্কোরের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি তা যাচাই করে থাকে। ক্রেডিট স্কোর 300 থেকে 900-র মধ্যে হয়ে থাকে। ক্রেডিট স্কোর 750-র বেশি হলে তা খুব ভালো বলে বিবেচনা করা হয়। আর এই স্কোর 550 থেকে 750-এর মধ্যে থাকলে তা মোটামুটি। কিন্তু ক্রেডিট স্কোর 550-এর নীচে নেমে গেলে তা খারাপ বলে বিবেচিত হয়।
আপনি নিশ্চিতভাবে বহুবার শুনে থাকবেন যে, ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে পার্সোনাল লোন পাওয়া যায় না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। খারাপ ক্রেডিট স্কোর হওয়া সত্ত্বেও কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করে আপনি পার্সোনাল লোন পেতে পারেন। একঝলকে তা দেখে নেওয়া যাক:
কিস্তি মেটানোর ক্ষমতা প্রমাণ করুন
পার্সোনাল লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি ক্রেডিট স্কোরের পরেই আবেদনকারীর আয় খতিয়ে দেখে। ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলেও যদি আপনি ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এটা বোঝাতে সক্ষম হন যে, কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা আপনার আছে তবে ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন গ্রাহ্য হতে পারে।
যুগ্ম-আবেদনকারী বা গ্যারান্টারের সাহায্য
আপনার ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে ব্যক্তিগত ঋণের জন্য যুগ্ম-আবেদনকারী বা গ্যারান্টারের সাহায্য নিতে পারেন। আবেদনপত্রে যুগ্ম-আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকলে ঋণ দেওয়ার সময় ঋণদাতা সংস্থাটি তাঁর ক্রেডিট স্কোরও বিবেচনা করবে। একইভাবে, গ্যারান্টার থাকলে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলি নিশ্চিত হয়। তারা ধরে নেয় যে ঋণের টাকা মার যাবে না।
মর্টগেজ
সম্পত্তি বন্ধক রেখেও পার্সোনাল লোন নেওয়া যেতে পারে। এটি গ্যারান্টির মতো কাজ করে। সেক্ষেত্রে ঋণের টাকা ফেরত দিতে না পারলে ব্যাঙ্ক বন্ধক রাখা সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে পারে।
স্বল্প টাকার ঋণের জন্য আবেদন
খারাপ ক্রেডিট স্কোর হলে যে কোনও ধরণের ঋণ পাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে অল্প টাকার পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করলে তা পাওয়া যেতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে টাকা ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
ক্রেডিট রিপোর্টে ভুল সংশোধন
ক্রেডিট রিপোর্টে ভুলভ্রান্তি থাকলে তা ক্রেডিট রিপোর্টের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বছরে অন্তত একবার ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা উচিত। কোনও ভ্রান্তি ধরা পড়লে তৎক্ষনাৎ তা জানাতে হবে এবং সংশোধন করে নিতে হবে।