চার বছর পর মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলি 2022-23 সালে দেশে মোট প্রদত্ত ঋণের 40 শতাংশ দিয়েছে. এর ফলে তারা গত আর্থিক বছরে মাইক্রোলেন্ডিংয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে. তার আগের বছর মোট মাইক্রো ঋণের 35 শতাংশ দিয়েছিলো মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলি। এ কথা জানিয়েছে বাণিজ্যিক দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড.
মাইক্রো ফিনান্স শিল্পে মোট সম্পদ বা AUM-এর নিরিখে বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, এবং পশ্চিমবঙ্গ দেশের শীর্ষ পাঁচ রাজ্য. দেশের প্রায় 15 শতাংশ বাজার বিহারেই . যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মহামারীর সময় অর্থ সংগ্রহ এবং বিতরণ, দুইই কমে গেছিল. FY20-তে মাইক্রো ঋণ বাজারে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলির দখল ছিল 32 শতাংশ. FY21-এ তা 31 শতাংশে নেমে গেছিল এবং FY22-তে তা 35 শতাংশে বেড়েছিল।
2023 সালের মার্চ পর্যন্ত, মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলি ক্ষুদ্রঋণ বাজারের 40 শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে. পক্ষান্তরে ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণে ছিল 34 শতাংশ. ব্যাঙ্কের দখল FY22-এর তুলনায় 600 বেসিস পয়েন্ট কমেছে, কেয়ার রেটিং এই তথ্য জানিয়েছে।
কেয়ার রেটিং-এর সিনিয়র ডিরেক্টর সঞ্জয় আগরওয়ালের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা আশা করছে চলতি অর্থবছরে বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে, যদিও তার গতি সামান্য কমতে পারে।
তবে গ্রাহকদের ঋণ বৃদ্ধি, গড় ঋণের আকার বৃদ্ধি এবং যৌথ দায়বদ্ধতা গ্রুপ মডেল থেকে ব্যক্তি ঋণে ধীরে ধীরে স্থানান্তরের বিষয়ে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছে কেয়ার. বলেছে এগুলি শিল্পের জন্য অতিমাত্রায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঋণের হারের সীমা বিলোপ করার ফলে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলির নেট সুদের মার্জিন (NIM) বেড়ে গেছে. ফলস্বরূপ, মোট সম্পদের উপর আয় বৃদ্ধি করেছে৷
কেয়ার আশা করে যে নেট সুদের মার্জিন FY24-এ 3.8 শতাংশে বাড়বে৷ সংস্থাগুলি যা হারে সুদ দিয়ে থাকে এবং যে হারে সুদ যায় করে, তার ফারাককেই নেট সুদের মার্জিন বলে.
MFIs FY23-এ প্রায় 3,000 কোটি টাকা ইক্যুইটি সংগ্রহ করেছে. FY21 এবং FY22-তে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে প্রায় 1,500 কোটি এবং 1,430 কোটি টাকা. ফলে এই সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আগ্রহ বাড়ছে৷
Published: August 24, 2023, 15:15 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App