বর্তমানে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্যবিমা কেনার উপরে জোর দিয়ে থাকেন আর্থিক উপদেষ্টারা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, এখনও দেশের একটা বড় অংশের মানুষ কোনও বিমার আওতায় পড়েন না। প্রবীণদের মধ্যেও এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বিমা সংস্থাগুলি এখন প্রবীণদের জন্য নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য বিমা পলিসি চালু করছে। বয়স ন্যূনতম 60 বছর হলে তবে এই বিমা কেনা যায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, 60 বছর বা তদুর্ধ্ব ব্যক্তিদের 34.6% হার্টের রোগে ভোগেন, আর 32 শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। 18.8% প্রবীণ নাগরিকের বিভিন্ন ধরণের হাড় বা জয়েন্টের সমস্যা লক্ষ্য করা গিয়েছে। চোখের ছানি, গ্লুকোমার মতো চোখের সমস্যায় ভোগেন 55.3 শতাংশ প্রবীণ নাগরিক।
বয়সকালে এই সমস্ত রোগ যতটা তাঁদের শরীরের উপরে প্রভাব ফেলে ততটাই চাপ পড়ে পকেটে। তবে প্রবীণদের জন্য যে সমস্ত বিমা পলিসি বাজারে আছে প্রায় সবগুলিতে কোনও না কোনও সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে চিকিৎসার সমস্ত খরচ এগুলি বহন করে না। বেশিরভাগ পলিসির প্রিমিয়ামের অঙ্ক খুব বেশি। এছাড়া থাকে সাব-লিমিট, ওয়েটিং পিরিওড ও কো-পেমেন্ট ক্লজ।
এছাড়া বিমা সংস্থা মনে করলে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রিমিয়ামের অঙ্ক বাড়াতে পারে। যাকে বলে রিস্ক লোডিং। এমনকী এই অতিরিক্ত অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে প্রকৃত প্রিমিয়ামের অঙ্ক।
যে কারণে কম বয়সে একটি কম্প্রিহেনসিভ পলিসি কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে আপনার পকেটেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না। একইসঙ্গে চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য একটি হেলথ ফান্ড থাকা জরুরি। এই টাকায় বিমার আওতায় যে কভার পাওয়া যাবে না বা আংশিক পাওয়া যাবে সেই খরচ চালানো সম্ভব হবে।
Published: November 14, 2023, 14:44 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App