স্বাস্থ্য বিমায় মাসে মাসে প্রিমিয়াম দেওয়ার ফিচার দেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আগের থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ এখন এই সুবিধা বেছে নিচ্ছেন। এর একটা কারণ হল বছরের প্রিমিয়াম একবারে দিতে গেলে অনেকটা টাকা দিতে হয়। যা সবার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলি আজকাল মাসিক এবং ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম পেমেন্টের সুবিধার প্রচারের উপরে বেশি জোর দিচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
পলিসিবাজার-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, 26 থেকে 35 বছর বয়সী চাকরিজীবীদের 33% প্রথমবার স্বাস্থ্য বিমা কেনার সময় মাসে মাসে প্রিমিয়াম দেওয়ার বিকল্প বেছে নেন। দেশের টিয়ার-3 শহরগুলিতে এটি আরও জনপ্রিয়। সেখানে এই বয়সের 44% ব্যক্তি মাসে মাসে প্রিমিয়াম দেওয়ার বিকল্প বেছে নিয়েছেন। টিয়ার-টু শহরে এই সংখ্যা 31% এবং মেট্রো শহরগুলিতে তা 23%।
তবে মাসে মাসে বিমার প্রিমিয়াম দেওয়ার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন:
1) কোনও মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রিমিয়াম দিতে না পারলে পলিসিটি বাতিল হয়ে যাবে। বিমা কোম্পানিগুলি প্রিমিয়াম প্রদানের শেষ তারিখের পরে 15 দিনের একটি গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে থাকে। এই গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে পলিসি শেষ হয়ে যায়। তখন আর ক্লেমের টাকা পাওয়া যায় না।
2) বর্তমান পলিসি ল্যাপস হলে নতুন পলিসি কিনতে হবে। আগের পলিসিতে যে সমস্ত সুবিধা আছে নতুন পলিসিতে সেই সমস্ত সুবিধা নাও পাওয়া যেতে পারে।
3) মাসিক প্রিমিয়াম দেওয়ার আরও একটি সীমাবদ্ধতা হল প্রিমিয়ামের ফারাক। বার্ষিক প্রিমিয়ামের থেকে এখানে 3 থেকে 4% বেশি হতে পারে।
4) এছাড়া প্রতিটি EMI-তে প্রসেসিং ফি দিতে হয়।
তাই শুধুমাত্র সুবিধার কথা ভেবে স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে মাসিক বা ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম প্রদানের বিকল্প বেছে নেওয়া উচিত নয়।
Published: March 19, 2024, 12:52 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App