গত ছ’মাস IPO-র বাজারের জন্য ভয়ঙ্কর ছিল। IPO-র জন্য বাজার নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন মেলা সত্ত্বেও বাজার এতটাই উত্তাল ছিল যে IPO ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেনি বিভিন্ন সংস্থা।
চারটি কোম্পানি তাদের অফার ডকুমেন্ট প্রত্যাহার করেছে এবং আরও সাতটি কোম্পানির আবেদন সেবি নিজেই ফেরত দিয়েছে। সম্মিতিতভাবে এই সংস্থাগুলি 60,000 কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল। PIO-র জন্য সেবি একবার অনুমোদন দিলে তা এক বছরের জন্য বৈধ থাকে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় আরও সোনা কিনছে RBI
তবে বাজারের এই তমসাচ্ছন্ন দিন এবার কাটতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছে বাণিজ্যিক দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। এক প্রতিবেদনে তারা বলেছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে 15টি সংস্থা তাদের Draft Red Herring Prospectus ফাইল করেছে। গত ছয় মাসে সেনসেক্স 0.6% বেড়েছে। ডিসেম্বরে শীর্ষে পৌঁছেছিল এই সূচক।
গত কয়েক মাসে যে IPO-গুলির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ওয়ারী এনার্জিস, জেসনস ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্যাপিটাল স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক এবং CMR গ্রিন টেকনোলজিস। অন্য যে সব সংস্থার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে তার মধ্যে রয়েছে ওয়েলনেস ফরএভার মেডিকেয়ার, API হোল্ডিংস, JK ফাইলস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, হেক্সাগন নিউট্রিশন, Srestha ন্যাচারাল বায়োপ্রোডাক্টস এবং মাইনি প্রিসিশন প্রোডাক্টস।
যেসব কোম্পানি অফার নথি প্রত্যাহার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে FirstMeridien Business Services, Joyalukkas India, Airox Technologies এবং SBFC Finance।
প্রাইম ডেটাবেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রণব হালদিয়াকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, “গত কয়েক মাসে বাতিল হওয়া IPO-গুলির অনুমোদনের সংখ্যা উদ্বেগজনক। যখন তারা মূল্যায়ন সম্পর্কে নিশ্চিত নয় tokhon অনেক কোম্পানি তাদের অফার চালু করতে চাইবে না। এমন সময় কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীরা যা আশা করে তার মধ্যে অনেক ফারাক থাকে।”
সামগ্রিকভাবে 2022-23 সালে 39-টি IPO-র 55,000 কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করার কথা ছিল। পরিমাণের দিক থেকে গত পাঁচ বছরে এই অঙ্ক সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে এই কোম্পানিগুলির 2022-23-এ 85,000 কোটির বেশি সংগ্রহ করার কথা ছিল।
বিশ্ববাজারের পরিস্থিতি, সুদের হার বৃদ্ধি, নাছড়বান্দা মুদ্রাস্ফীতি, যুদ্ধের পরিস্থিতি এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি গত কয়েক মাসে বাজারকে অস্থির করে রেখেছে।
FPIগুলি চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বাজার থেকে যথাক্রমে 350 কোটি ডলার এবং 6 কোটি 47 লক্ষ ডলার মূল্যের স্টক বিক্রি করেছে।
কিন্তু মার্চ মাসে তারা 96 কোটি 7 লক্ষ ডলার এবং এপ্রিলে 140 কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনেছে। গত কয়েকদিনে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। গত মাসে সেনসেক্স 3.4% বেড়েছে।
4,326 কোটি টাকার ম্যানকাইন্ড ফার্মার ইস্যু সফল হয়েছে। আইপিও বাজারের জন্য এটি শুভ লক্ষণ।
প্রাইম ডেটাবেস অনুসারে, বর্তমানে 59টি কোম্পানি IPO বাজারে ছাড়ার জন্য সেবির অনুমোদন ধরে রেখেছে। এগুলি সম্মিলিতভাবে মোট 86,329 কোটি টাকা তুলতে পারে। আরও 22টি কোম্পানি যেগুলি প্রায় 34,330 কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে সেগুলি সেবির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App