অভূতপূর্ব এসি চাহিদা; কিনলেও ইনস্টল করতে অনেক বিলম্ব হচ্ছে

সবচেয়ে বড় কথা এসি কোম্পানিগুলি আশঙ্কা করছে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কারখানায় উৎপাদন করতে পারবে না এবং বাজারে ঘাটতি তৈরী হবে।

অভূতপূর্ব এসি চাহিদা; কিনলেও ইনস্টল করতে অনেক বিলম্ব হচ্ছে

এটি এমন একটি শিল্প যা প্রতি গ্রীষ্মে মানুষের ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি দেখে স্বস্তি পায়। এক প্রতিবেদনে দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে তাপ এবং আর্দ্রতার যুগলবন্দিতে দেশের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে এসি কেনার অভূতপূর্ব হিড়িক পড়েছে। এতটাই যে এসি কোম্পানিগুলি পর্যন্ত অবাক হয়ে গেছে। এমনকি তারা আশঙ্কা করছে এবার এসি মেশিনের স্টকে টান পড়তে পারে।

চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে মেশিন কিনলেও ইনস্টল করার কর্মী কম পরে যাচ্ছে। ফলে এসি মেশিন বুক করলেও তা বাড়িতে বসাতে এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। ক্রেতারাও দৈর্য হারাচ্ছেন।

সবচেয়ে বড় কথা এসি কোম্পানিগুলি আশঙ্কা করছে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কারখানায় উৎপাদন করতে পারবে না এবং বাজারে ঘাটতি তৈরী হবে।

তাপপ্রবাহ এবার চরমে উঠেছে। তাপমাত্রা অনেক অঞ্চলে নিয়মিত স্বাভাবিকের থেকে 4-5 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাচ্ছে।

পারদ স্তর নিয়মিতভাবে 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কোনও কোনও বাজারে এসি বিক্রি 2023 সালে একই সময়ের তুলনায় 300% পর্যন্ত বেড়েছে।

মাথায় রাখতে হবে গ্রীস্ম সবে শুরু হয়েছে। এপ্রিলের মাত্র তিন সপ্তাহ কেটেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে গ্রীষ্মের আসল রূপ এখনো দেখা যায়নি।

ডাইকিন ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে জে জাওয়া ওই সংবাদপত্রকে বলেছেন, “শিল্পের সঙ্গে জড়িত কেউ বিক্রির এই হার প্রত্যাশা করেনি – এটি একটি রেকর্ড বছর।”

কলকাতা-ভিত্তিক গ্রেট ইস্টার্ন রিটেল, যার পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় 51টি আউটলেট রয়েছে, 2023 সালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 1,200টি মেশিন বিক্রি করেছে। এ বছর ইতিমধ্যে তা গড়ে দিনে 1,800 মেশিনে ঠেকেছে। বিজয় সেলস মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি-NCR এবং অন্ধ্র প্রদেশে 135টি দোকান চালায়। এরা গত বছরের গড়ে প্রতিদিন 2,500টি মেশিনের তুলনায় এ বছর গড়ে প্রায় 4,000 মেশিন বিক্রি করছে। গিরিয়াস, যেটি কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে 150টি স্টোর পরিচালনা করে, সেটি এ বছর গড়ে 1,500 এসি বিক্রি করছে. 2023 সালে এই সময়ে এই সংখ্যা ছিল 500 থেকে 600।

এসি শিল্পের কর্তারা আশঙ্কা করছেন তাদের স্টক ফুরিয়ে যেতে পারে। কারণ কম্প্রেসারের মতো ক্রিটিকাল যন্ত্রাংশ কম পড়তে পারে। “চাহিদা অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ করাও এখন মুশকিল হয়ে উঠতে পারে কারণ বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমাদের কাছে এত বেশি উপাদান নেই,” ডাইকিনের জাওয়া বলেছে।

ভোল্টাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ বক্সীও বলেছেন যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাপ প্রবাহের কারণে গত এক মাসে এসি এবং এয়ার কুলারের বিক্রি অভূতপূর্ব গতিতে বেড়েছে। “স্টক দোকানে পৌঁছানোর সাথে সাথে শেষ হয়ে যাচ্ছে,” তিনি বলেছেন।

উত্তর ভারতেও চাহিদা বাড়তে শুরু করলে তারা কীভাবে যোগান দেবেন, তা ভেবেই কুল কিনারা করতে পারছেন না এসি মেশিন সংস্থার কর্তারা।

Published: April 22, 2024, 17:06 IST