ফিক্সড ডিপোজিট বা FD এখনও ভারতে লগ্নির জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে FD-র ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মেয়াদ বেছে নেওয়া। এর উপরে নির্ভর করে রিটার্ন। তাছাড়া অনেক সময় মেয়াদ শেষের আগে টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধা থাকলেও সেজন্য লগ্নিকারীকে গুণতে হয় জরিমানা। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ন্যূনতম সাত দিন থেকে 10 বছর পর্যন্ত মেয়াদে FD-র সুযোগ দিয়ে থাকে। ফলে নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য ও পরিস্থিতি অনুযায়ী FD-তে টাকা রাখার সময় সঠিক মেয়াদ বেছে নেওয়া খুব জরুরি।
সাধারণত কম মেয়াদের FD-তে সুদের হার কম থাকে। তবে সেক্ষেত্রে দ্রুত নগদ অর্থ হাতে পাওয়া যায়। আবার দীর্ঘ মেয়াদে তুলনামূলক বেশি রিটার্ন পাওয়া গেলেও সেখানে দ্রুত ভাঙিয়ে ফেলার সুবিধা কম। তাছাড়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কম মেয়াদেও বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে।
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সঠিক মেয়াদ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সেগুলি কী কী? দেখে নেওয়া যাক:
আপনার প্রয়োজন:
FD-র মেয়াদ বেছে নেওয়ার আগে আপনার আর্থিক লক্ষ্য ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে নেওয়া জরুরি। যদি দেখেন যে আপনার খুব শীঘ্রই অর্থের প্রয়োজন হতে পারে তবে বেছে নিন স্বল্প মেয়াদের বিকল্প। আর দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য FD করতে পারেন।
সুদের হার:
ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার নির্ভর করে মেয়াদের উপরে। সাধারণত স্বল্প মেয়াদের তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি FD-তে বেশি সুদ মেলে। তাই প্রয়োজনে টাকার যোগান অব্যাহত রাখতে এবং বেশি রিটোর্নের লাভ নিতে সম্পূর্ণ অর্থ একটি মাত্র মেয়াদের FD-তে না রাখে বিভিন্ন মেয়াদের FD করুন।
করের বোঝা:
ফিক্সড ডিপোজিটে প্রাপ্ত রিটার্নের উপরে থাবা বসায় কর। বিশেষত উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের উপরে এর বেশি প্রভাব পড়ে। করের খাঁড়া এড়াতে ট্যাক্স-সেভার ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন।
মুদ্রাস্ফীতি:
ফিক্সড ডিপোজিট করার সময় মাথায় রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিও। কারণ মুদ্রাস্ফীতি রিটার্নে থাবা বসায়। ফলে লগ্নি থেকে যে রিটার্ন মেলে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বাদ দিলে তার বাস্তব মূল্য অনেকটা কমে যায়।
Published: January 17, 2024, 06:41 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App