ঋণ খেলাপিদের সাথে নিষ্পত্তি: ব্যাঙ্কের বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, জানাল RBI
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর এম কে জৈন বেসরকারি এবং সরকারি ব্যাঙ্কগুলির বোর্ড সদস্যদের বলেছিলেন ব্যাঙ্ক যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে তাঁদের আরও সক্রিয় হতে হবে।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর এম কে জৈন বেসরকারি এবং সরকারি ব্যাঙ্কগুলির বোর্ড সদস্যদের বলেছিলেন ব্যাঙ্ক যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে তাঁদের আরও সক্রিয় হতে হবে। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এক সার্কুলারে জানিয়েছে যাঁরা ইচ্ছা করে ঋণ নিয়েও ফেরত দিচ্ছেন না, তাদের সঙ্গে নিষ্পত্তি করার যে প্রক্রিয়া ব্যাঙ্ক চালালে ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্যদের সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে।
“জালিয়াতি বা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ক্ষেত্রে ঋণদাতারা আপস নিষ্পত্তি করলে তার জন্য সমস্ত ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন হবে,” RBI তার সার্কুলারে জানিয়েছে।
ইচ্ছাকৃত খেলাপি হলেন এমন একজন দেনাদার যিনি ঋণ মেটাতে সক্ষম হলেও ঋণ পরিশোধ করেন না। আর ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য ঋণদাতার অধিকার ছেড়ে না দিয়েও অ্যাকাউন্টিংয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্কের বই থেকে খেলাপি ঋণ সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রযুক্তিগত রাইট-অফ বলা হয়।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে যাঁরা এই ধরনের আপোষ মীমাংসায় স্বাক্ষর করবেন তাঁরা যেন যাঁরা ব্যঙ্কের তরফে ঋণ মঞ্জুর করেছেন তাঁদের থেকে সিনিয়র হন।
RBI পরিষ্কার করে দিয়েছে যে ব্যাংকগুলিকে এই ধরনের ঋণগ্রহীতাকে আবার নতুন করে ঋণ দেওয়ার আগে অবশ্যই 12 মাসের একটি “কুলিং অফ” সময় দিতে হবে। এই “কুলিং অফ” সময়কাল পুরানো ক্রেডিট নিষ্পত্তির তারিখ থেকে গণনা করতে হবে।
নতুন ব্যবস্থাগুলির মূল লক্ষ্য হল ব্যাঙ্কগুলির স্বচ্ছতা বাড়ানো, দ্রুত ঋণ পুনরুদ্ধার করা, এবং আইনি খরচ ও আরো নানাবিধ খরচ বাঁচানো। গোটা প্রক্রিয়াতে বোর্ড সদস্যদের জড়িত করে রাখলে ঋণদাতার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ব্যক্তিরা তার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন। সম্প্রতি, ব্যাঙ্কগুলি বিশাল অংকের ঋণ নিয়ে আপোষ মীমাংসার পথেই গেছে এবং RBI তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঋণগ্রহীতা কখনই আর এই টাকা পরিশোধ করবে না।
RBI বলেছে, “আপোষের মীমাংসা নিয়ে আলোচনা করার সময়, এটার মাথায় রাখা উচিত যে ব্যাঙ্কগুলি একটি পাবলিক সেক্টর চরিত্র আছে এবং স্টেকহোল্ডাররা কর প্রদানকারী সাধারণ জনগণ। তাই ঋণগ্রহীতাদের স্বার্থের চেয়ে জনস্বার্থের কথাই মাথায় রাখতে হবে।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মুম্বইয়ে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকে ব্যাঙ্কগুলির বোর্ড সদস্যদের ঠিক এই কথাই বলেছিলেন। এম কে জৈন বলেছিলেন যে তাঁদের শেয়ারহোল্ডারদের আগে জনসাধারণের স্বার্থকে রাখা উচিত এবং এই লক্ষ্যে বোর্ড সদস্যদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে, ঝুঁকি হ্রাস এবং দায়িত্বশীল ব্যাঙ্কিং নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরবিআই গভর্নরও সম্প্রতি ব্যাঙ্কগুলি কীভাবে খেলাপি ঋণ নিয়ে আপোষ করছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
Published: June 12, 2023, 08:12 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App